নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সভাপতি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল তাকে বিস্মিত করেছে। কারণ তিনি পেয়েছেন মাত্র একটি ভোট—আর সেটিও তিনি নিজে দেননি! ভোটটি এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাস রোকেয়া হল থেকে। যা দেখে রাকিবুল অনুমান করছেন, কোনো নারী শিক্ষার্থীই তাকে ভোটটি দিয়েছেন। আর এই একটি মাত্র ভোটের কারণেই ওই অজানা ভোটদাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আকর্ষণ জন্মেছে তার মনে।

এই অজানা ভোটারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং তাকে খুঁজে পেতে রাকিবুল ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, যদি তিনি ওই ভোটারকে খুঁজে পান, তাহলে তাকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন। সামাজিক মাধ্যমে এই ঘোষণা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং রাকিবুল এখন নেটিজেনদের চোখে "ভোটবাজ প্রেমিক" হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন।

রাকিবুল গণমাধ্যমকে জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন স্বপ্ন পূরণ ও নিজের পরিচিতি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। তার মতে, জয়-পরাজয় বড় নয়, বরং অংশগ্রহণ করাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, নিজের ভোট অন্য একজন প্রার্থীকে দিয়েছেন, কারণ তিনি চেয়েছেন তার ভোট একটি যোগ্য প্রার্থীর কাজে আসুক।

এদিকে ডাকসুর ভিপি পদে রাকিবুল ছাড়া আরও কয়েকজন প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ১ বা ২ ভোট করে। রাকিবুলের পাশাপাশি মো. সুজন হোসেন ও রাসেল হক পেয়েছেন ১টি করে ভোট। ২টি করে ভোট পেয়েছেন মো. নাসিম উদ্দিন, মো. সোহানুর রহমান এবং মো. হাবিবুল্লাহ।

সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ এটিকে রোমান্টিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন, আবার কেউ হাস্যরসের ছলে বলছেন—"এটাই হলো গণতন্ত্রে প্রেমের নতুন সংজ্ঞা!" অনেকে আবার ভোটের গুরুত্বকে ব্যক্তি জীবনের আবেগের সঙ্গে মেলানোর রাকিবুলের কৌশলকে মজার ও সৃজনশীল বলে আখ্যায়িত করছেন।

সব মিলিয়ে, রাকিবুল হাসান এই নির্বাচনে খুব বেশি ভোট না পেলেও, তার ভিন্নধর্মী ভালোবাসার প্রকাশ ও সাহসী ঘোষণা তাকে সামাজিক মাধ্যমে পরিচিত মুখে পরিণত করেছে।

জাহিদ/