ঢাকা, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
Sharenews24

প্রধান উপদেষ্টাকে টিউলিপের চিঠি, যা বললেন প্রেস সচিব

২০২৫ জুন ০৮ ১৯:৫৩:৩৪
প্রধান উপদেষ্টাকে টিউলিপের চিঠি, যা বললেন প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাজ্যে সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের পাঠানো কোনো চিঠি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাননি। আজ রোববার (০৮ জুন) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন, যা টিউলিপের সাক্ষাৎ প্রার্থনা নিয়ে চলমান জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে।

দ্যা গার্ডিয়ান-এর খবর অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন। ড. ইউনূসের আসন্ন লন্ডন ভ্রমণের সময় এই সাক্ষাৎ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ। তার উদ্দেশ্য হলো, এই সাক্ষাতের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ওঠা 'ভুল বোঝাবুঝি'-র অবসান ঘটানো।

এ বিষয়ে শফিকুল আলম আজ (রোববার) বিকালে জানান, "টিউলিপের কোনো চিঠি পাননি প্রধান উপদেষ্টা। গত ৫ (জুন) তারিখ থেকে আমরা ছুটিতে আছি।"

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। গত সপ্তাহে টিউলিপের খালার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের শুনানি শুরু হয়, যদিও শেখ হাসিনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন না।

টিউলিপ ও তার মা শেখ রেহানার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির দাবি, টিউলিপ কিংবা তার মা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাত হাজার ২০০ স্কয়ার ফুটের প্লট বা জমি নিয়েছেন।

তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন টিউলিপ। তার আইনজীবীরা বলছেন, এ অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশে প্রণোদিত এবং এর কোনো ভিত্তি নেই। পরবর্তীতে টিউলিপ দাবি করেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

গত বছর টিউলিপ ইকোনমিক সেক্রেটারি ও সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে, তার বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগের প্রমাণ পায়নি যুক্তরাজ্য সরকার।

গার্ডিয়ান বলছে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ। ওই চিঠিতে সাবেক সিটি মিনিস্টার ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ করেন। এই সাক্ষাতে তিনি চলমান বিতর্ক নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে চান।

চিঠিতে টিউলিপ আশা করেছেন, সম্ভাব্য বৈঠক ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিটির দ্বারা সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়া, তার মায়ের বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি তুলতে চান।

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার চিঠিতে আরও লেখেন, "আমি একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক। জন্মেছি লন্ডনে এবং হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের মানুষদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ এক দশক কাজ করেছি। বাংলাদেশে থাকা কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসার প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নেই। দেশটি আমার হৃদয়ে থাকলেও সেটি আমার দেশ নয়। আমার দেশ যেখানে আমি জন্মেছি, বড় হয়েছি ও নিজের ক্যারিয়ার করেছি।"

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে