ঢাকা, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
Sharenews24

মুনাফা বাড়লেও কেন ডিভিডেন্ড নেই ওয়ান ব্যাংকের?

২০২৫ মে ২৭ ০৯:৫৯:৩২
মুনাফা বাড়লেও কেন ডিভিডেন্ড নেই ওয়ান ব্যাংকের?

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ অর্থবছরে ১৪ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধির পরও কোনো ধরনের ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি ওয়ান ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকটি তালিকাভুক্তির পর এবারই প্রথমবারের মতো শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড শূন্য রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ডিভিডেন্ড না দেওয়ারপ্রভাব

‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণার পর সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারদর একদিনে ৭.৮৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৭ টাকায় নেমে আসে। এতে ব্যাংকটির বাজার মূলধন কমে যায় প্রায় ৬৪ কোটি টাকা।

২০২৩ সালে ব্যাংকটি ৩.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৩.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অথচ ২০২৪ সালে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা, যা আগের বছরের ১ টাকা ৯ পয়সা থেকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

এছাড়া, ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ পয়সায়, যা আগের বছরের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি।

ডিভিডেন্ড না দেওয়ার কারণ

ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান এএসএম শহীদুল্লাহ খান জানিয়েছেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের ডিভিডেন্ড অনুমোদন দেয়নি। এমনকি কেবল স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার আবেদন করলেও সেটিও নাকচ হয়েছে।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন, যেসব ব্যাংক খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন না করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ডিফারাল ফ্যাসিলিটি’ নিয়েছে, তারা ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে না। ওয়ান ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ১,০০০ কোটিরও বেশি।

চেয়ারম্যান আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩ মার্চ যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তা মূলত ২০২৫ সাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ করেই ২০২৪ সালের আর্থিক বিবরণীতে তা প্রয়োগ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে এমন ব্যাংকগুলো ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। যারা ডিফারাল সুবিধা নিয়েছে, তারাও নিষিদ্ধ। এমনকি সমস্ত নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা পালনকারী ব্যাংকগুলোও সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ডিভিডেন্ড দিতে পারবে। যারা সিআরআর বা এসএলআর ঘাটতির কারণে জরিমানা পেয়েছে, তারাও ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। ১০ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে এমন ব্যাংকও নিষিদ্ধ।

ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই প্রজ্ঞাপনের আগাম বাস্তবায়নের ফলে দেশের অন্তত ১৫ থেকে ২০টি ব্যাংক চলতি অর্থবছরে কোনো ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কঠোর অবস্থানের পেছনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর চাপকেই মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে