ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

২৩৯ কোটি ডলার ছাড় করতে ঢাকায় আসছে আইএমএফ দল

২০২৫ এপ্রিল ০১ ১৫:০৯:৫৪
২৩৯ কোটি ডলার ছাড় করতে ঢাকায় আসছে আইএমএফ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২৩৯ কোটি ডলার কিস্তি হিসেবে পাবে। তবে অর্থ ছাড়ের আগে আইএমএফের প্রতিনিধি দল চলতি এপ্রিল মাসে ঢাকায় এসে শর্তগুলো পর্যালোচনা করবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি আইএমএফের বড় দলের ঢাকা সফরের দ্বিতীয়বার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে শর্তগুলোর উন্নয়ন পর্যালোচনায় আইএমএফের একটি দল আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ঢাকায় অবস্থান করবে। এই প্রতিনিধি দল ৬ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহ ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে।

এ সফরকালে আইএমএফের প্রতিনিধিদল অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে।

বৈঠক শেষে ১৭ এপ্রিল একটি প্রেস ব্রিফিং করা হবে। সফরের প্রথম ও শেষ দিনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় এবং এর মধ্যে বাংলাদেশ তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়ে এসেছে। প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং তৃতীয় কিস্তিতে ১১৫ কোটি ডলার পাওয়া গেছে, যা মোট ২৩১ কোটি ডলার। এখনো বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি ইআরএফের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় বলেছিলেন, বাজেট সহায়তার জন্য আইএমএফ ঋণ প্রয়োজন।

তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, আইএমএফের দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পেতে বাংলাদেশের সামনে তিনটি প্রধান বাধা রয়েছে: মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ০.৫% হারে বাড়তি রাজস্ব আহরণ এবং রাজস্ব প্রশাসনকে রাজস্ব নীতির আওতামুক্ত করা।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আইএমএফকে জানানো হয়েছে যে শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা হবে, তবে রাজস্ব নীতির পৃথকীকরণের পদক্ষেপ ছাড়া অন্য দুটির বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। অন্যদিকে, ক্রলিং পেগ পদ্ধতির মাধ্যমে বর্তমানে ডলারের দাম ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, যাতে হঠাৎ করে ডলারের দাম বাড়ার সুযোগ নেই।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে