ঢাকা, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

শেয়ারবাজার চালাতে মন্ত্রণালয় থেকে ১৯ কর্মকর্তা চেয়েছে বিএসইসি

২০২৫ মার্চ ১৬ ১১:২২:২৩
শেয়ারবাজার চালাতে মন্ত্রণালয় থেকে ১৯ কর্মকর্তা চেয়েছে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) রাশেদ মাকসুদ কমিশন। নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর ‘নিরঙ্কুষ নির্ভরশীলতা’ কমাতে চায় কমিশন।

এর প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের থেকে ১৯ জন কর্মকর্তাকে বিএসইসিতে আনতে চায় রাশেদ মাকসুদ কমিশন। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে তিনজন নির্বাহী পরিচালক, তিনজন পরিচালক, একজন কমিশন সচিব এবং ১২ জন যুগ্ম বা অতিরিক্ত পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বিএসইসিতে নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে কমিশনের কাজের গোপনীয়তা বজায় থাকবে বলেও মনে করে রাশেদ মাকসুদ কমিশন

এর আগে গত ৫ মার্চ বিএসইসিতে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে কাছে পাঠানো একটি প্রতিবেদনে এই অনুরোধ জানিয়েছেন বিএইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

একই সঙ্গে বিএসইসিতে সেদিনের ‘হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’ জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও দ্রুত প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফেরাতে ৯ দফা সুপারিশ করেছে কমিশন।

চিঠিতে প্রত্যাশিত কর্মকর্তাদের বিএসইসিতে দ্রুত পদায়নের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার কথা বলা হয়।

চিঠিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন গুরুতর অনিয়মের কারণে সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে অবসর দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক শেখ মাহবুব-উর-রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এবং এস কে মো. লুৎফুর কবির ও যুগ্ম পরিচালক মো. রশিদুল আলমের বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ শেয়ারবাজার লুটপাটে সহযোগিতার এবং অবৈধ সম্পদ গড়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এটি উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিগত সময়ে শেয়ারবাজারে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম অনুসন্ধানে কমিশন পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির কয়েকটি প্রতিবেদনে শেয়ারবাজারের কারসাজির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও কমিশনার এবং কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পৃক্ততা ওঠে আসে। তদন্তের স্বার্থে জড়িতদের কারণ দর্শানো ও ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়। তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে কমিশনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। এরপর থেকে চক্রটি মরিয়া হয়ে বিএসইসি-তে অস্থিরতা তৈরি করার প্রয়াস চালায়।

বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির সুপারিশে কেবল কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর নিরঙ্কুশ নির্ভরশীলতা পরিহার করা এবং কমিশনের কাজের গুণগত মান উন্নয়ন ও গতিশীলতা আনা প্রয়োজন। এর প্রেক্ষিতে বিএসইসি-তে মন্ত্রণালয় থেকে কর্মকর্তাদের পদায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে