ঢাকা, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

৬ বিএনপি নেতার লড়াইয়ে শহর জুড়ে পোস্টারের সয়লাব

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২১ ১৫:৩৮:৪২
৬ বিএনপি নেতার লড়াইয়ে শহর জুড়ে পোস্টারের সয়লাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুর শহরের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র হতে বিএনপির প্রায় হাফডজন নেতা মাঠে নেমেছেন। শহর জুড়ে তাদের শুভেচ্ছা পোস্টারে সয়লাব হয়ে গেছে। এই নেতারা তাদের জনসমর্থন বাড়ানোর জন্য উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও অংশগ্রহণ করছেন। ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনের আগেই তারা নিজেদের ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন এবং ব্যাপক প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড, দেয়ালে পোস্টার, বিদ্যুতের খুঁটি থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গা জুড়ে তাদের ছবি ও প্রার্থিতার ঘোষণা দেখা যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালিয়ে জনসমর্থন অর্জন করতে চেষ্টা করছেন।

এ কে কিবরিয়া স্বপন - ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে পরিচিত। তিনি শেখ হাসিনার আমলে আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে বহু মামলা ছিল, তবে তিনি জনগণের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি দাবী করছেন, ফরিদপুর পৌরসভার নাগরিক সেবা বৃদ্ধির ব্যাপারে তার পরিকল্পনা রয়েছে।

বেনজীর আহমেদ তাবরিজ - ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি, যিনি ফরিদপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দলের প্রতি তার অবদান ও জনসমর্থনের ওপর ভিত্তি করে মেয়র পদে প্রার্থী হতে চান।

এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি - ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক। তিনি একাধিকবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং তার ভালো ভোটও এসেছে। এবারও তিনি এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।

সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল - ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ৩৬ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। তার কর্মী বাহিনীও বেশ শক্তিশালী এবং তিনি এ নির্বাচনে নিজেদের যোগ্য প্রার্থী মনে করছেন।

কেএম নাজমুল ইসলাম - ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক নেতা, যিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং ভালো ভোট পেয়েছিলেন। তিনি এবার মেয়র পদে নিজেকে পরীক্ষিত প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।

ফরিদপুর পৌরসভা ১৮৬৯ সালে ব্রিটিশ আমলে পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়েছিল। প্রথমে মাত্র ৯টি ওয়ার্ড ছিল। বর্তমানে এটি ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা এবং এর মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ড রয়েছে।

এছাড়া, সম্প্রতি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন বলেন, “ফরিদপুর পৌরসভা তার আয়তন বাড়ালেও নাগরিক সেবা বাড়াতে পারেনি। আমি নির্বাচিত হলে পৌরসভার নাগরিকদের সেবা দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে মনোযোগী হব।”

ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি বেনজীর আহমেদ তাবরিজ বলেন, “আমি সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। দলের জন্য আমার অবদান অনেক, এবং জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে আমি নিশ্চিতভাবে নির্বাচনে জয়ী হব।”

প্রত্যেক প্রার্থীই নিজেদের সমর্থক বৃদ্ধি করার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনের মাঠ এখন পুরোপুরি জমে উঠেছে, যেখানে প্রতিটি নেতা চেষ্টা করছেন তাদের পক্ষে জনমত তৈরির। ফরিদপুর পৌরসভা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, যেখানে বিএনপির নেতা-নেত্রীরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চান।

এছাড়া, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র পদে আরও অনেকেই আগ্রহী হতে পারেন, তবে বর্তমানে এ পাঁচজনের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিতি এবং সক্রিয় প্রচারই মূল শক্তি। বিএনপির এই প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি এই অঞ্চলে রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টি করেছে।

এনামুল/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে