ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে ভারত: মানবাধিকার লঙ্ঘন

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ ১৩:০৪:০৫
সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে ভারত: মানবাধিকার লঙ্ঘন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দিনদিন বাংলাদেশের সীমান্তে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি বিএসএফের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। তবে বিএসএফের এই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বাংলাদেশ তৎপর রয়েছে। কুড়িগ্রামে বিএসএফ কর্তৃক স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলো বিজিবির প্রতিবাদের মুখে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বৈরী সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্যও পরিষ্কার হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, "রক্ত ঝরলেও সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে।" মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, ২০০৯ সাল থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত বিএসএফ ৬১৭ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে, এবং অন্তত ১,১০০ জন আহত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসএফের বিতর্কিত শ্যুট অন সাইট নীতির ফলে এই হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হচ্ছে। তারা আরো দাবি করছেন, বিএসএফের এই নীতি এবং শেখ হাসিনার সরকারের ভারতপন্থী পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা এবং নির্যাতনের সুযোগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে ফেলানী খাতুনের হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচিত হওয়ার পরেও তৎকালীন হাসিনা সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

সামরিক বিশ্লেষকরা জানান, সীমান্ত হত্যা থামাতে পাল্টা গুলি করার ঘোষণা দেওয়া উচিত, যাতে বিএসএফের আক্রমণ বন্ধ হয়। বিজিবির কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তে বিএসএফের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে শুধু মানুষ হত্যা নয়, বিএসএফ বাংলাদেশে প্রবেশ করে নাগরিকদের অপহরণ ও নির্যাতন চালাত। ২০১২ সালে বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিন বাংলাদেশিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়, কিন্তু সরকার তাতে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে বিএসএফের শ্যুট অন সাইট নীতি ও অন্যান্য কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে 'জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফারহানা/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে