ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য দুঃসংবাদ

২০২৫ জানুয়ারি ২৪ ২৩:১১:৫০
মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য দুঃসংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুঃসংবাদ রয়েছে। তাদের মহার্ঘ ভাতা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে এই ভাতা কার্যকর করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, অর্থনীতির বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।

এটি বাস্তবায়ন হলে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়তে পারে এবং সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাই সরকারের এই উদ্যোগটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। এরফলে সরকারের মহার্ঘ ভাতা প্রদান থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে নতুন অর্থবছরের বাজেটে এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে, অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি ব্যায় ও আয়ের ভারসাম্য বজায় রেখে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং। যদিও অর্থ বিভাগ ভাতা প্রদানের জন্য অন্য খাত থেকে অর্থ স্থানান্তরের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছিল।

তবে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিষয়টিতে সায় না দিয়ে মহার্ঘ ভাতার নথি ফেরত পাঠিয়েছে, জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ভাতা প্রদান করা সমীচীন হবে না। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনার সুযোগ থাকবে।

সূত্র বলছে, সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেয়ার একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। তবে ইতোমধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট কার্যকর হওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে।

অর্থ বিভাগের অনুমিতি অনুযায়ী, এটি বাস্তবায়নে বছরে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে।

অর্থ বিভাগের প্রস্তাবে ১১ থেকে ২০ তম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা প্রদানের উদ্যোগ থাকলেও, প্রথম থেকে ১০ম গ্রেড পর্যন্ত ১০ বা ১৫ শতাংশ ভাতার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। যদি প্রথম থেকে ১০ম গ্রেডে ১০ শতাংশ ভাতা প্রদান করা হয়, তবে প্রয়োজন ছিল প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার। ১৫ শতাংশ হলে সেটা বাড়িয়ে দাঁড়াবে ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। অর্থ বিভাগ এটি সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছিল।

সাধারণত প্রতি পাঁচ বছরে নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করার কথা। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুলাইয়ে অষ্টম বেতন কাঠামো কার্যকর হয়। পরবর্তী সময়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হত। চলতি বছরে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন বেতন কাঠামো ও বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল।

এই প্রেক্ষাপটে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তবে তা কার্যকর না হলেও বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের পাশাপাশি ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা মূল বেতনের ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন।

এদিকে, মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোর জন্য আবারো মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং ১১ ডিসেম্বর জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর আওতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে