ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতি নিয়ে উত্তপ্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট

২০২৫ জানুয়ারি ১৫ ২১:২০:১৩
টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতি নিয়ে উত্তপ্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: নানা আলোচনা ও ব্যাপক চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্য হিসাবে পরিচিত এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট উপহার গ্রহণ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাৎ।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়ে আলোচনা ও সমালোচনা চলছিল। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত আলোচনা হয়। বিরোধী দলীয় নেত্রী কেমি বাডোনেচ এ সময় বলেন, ‘শেয়ারবাজারে যখন অস্থিরতা চলছে তখন প্রধানমন্ত্রী সাবেক সিটি মিনিস্টারের বিরুদ্ধে ওঠা সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেন, তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু (টিউলিপ) পদত্যাগ করায় তিনি ব্যথিত। (তিনি এমন একজনের জন্য ব্যথিত) যিনি দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু নিজেই এখন দুর্নীতির জন্য তদন্তের অধীন’।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সাবেক সিটি মিনিস্টার লন্ডনের যে ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন, তা সম্ভবত ডাকাতি হওয়া অর্থের মাধ্যমে অর্জিত।” এর ফলে কেমি বাডোনেচ প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, “তিনি কি বাংলাদেশের তদন্ত সংস্থাকে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দেবেন যাতে জানা যায়, লন্ডনে যেসব সম্পদ চুরির ফলে কেনা হয়েছে, তা সঠিকভাবে তদন্ত করা যাবে?”

এই প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার কিছুটা ক্ষিপ্ত হন। তিনি জানান, “সাবেক সিটি মিনিস্টার নিজেই তার বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তদন্তে তিনি নীতি ভঙ্গ করেননি এবং তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন।” তিনি বলেন, “গত সোমবার তদন্তের ফলাফল পেয়েছি।”

স্টারমার তার বক্তব্যের মাঝে বিরোধী দলের তরফ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের সঙ্গে পূর্বের একটি তদন্তের তুলনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, “সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যা ঘটেছিল, সেটা ঠিক ছিল না।”

এরপর কেমি বাডোনেচ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের তদন্তের বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।” তিনি আরও মন্তব্য করেন, “তিনি জানেন যে, তিনি একজন প্রতারককে যোগাযোগ সচিব বানিয়েছেন, যিনি মাত্র কয়েকদিন আগে পদত্যাগ করেছেন।”

গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করেছে, যেখানে টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা, ভাই-বোন এবং খালার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহরে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে