ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

বৈশ্বিক বাজারে ইতিবাচক সাড়ায় উজ্জীবিত পোশাক শিল্প

২০২৪ আগস্ট ১৮ ২১:২৩:৫১
বৈশ্বিক বাজারে ইতিবাচক সাড়ায় উজ্জীবিত পোশাক শিল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছু বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে তাদের পোশাক সংগ্রহ বাড়িয়েছে। পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড. মুহম্মদ ইউনূস দেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজ বেড়েছে।

পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস পোলো, গ্যাপ, এক্সপ্রেসের মতো বড় কোম্পানিগুলো তাদের তাদের পোশাক সংগ্রহের পরিমাণ বাড়িয়েছে। এমনকি কোরিয়ার পোশাক ব্র্যান্ড বিওয়াইসি'র মতো নতুন কোম্পানিও এখাতে যুক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশের জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তার কোম্পানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলো ইউএস পোলো। ইতোমধ্যে তারা ইউএস পোলোর কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়েও বড় ফরমায়েশ পেয়েছে। তাদের উৎপাদন ক্ষমতার ৪০ শতাংশই দখল করে আছে ইউএস পোলো।

তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তিনি তার কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ইউএস পোলোর ঢাকা কার্যালয়ে পাঠান এবং তাদেরকে বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। তাদের এই যোগাযোগের কারণে ক্রেতারা আস্থা রাখেন এবং আরো ফরমায়েশ পেতে সহায়তা করেন।

পোশাক খাতের আরেক শীর্ষ প্রতিষ্ঠান স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেছেন, তাদের তিনজন ক্রেতা ইতোমধ্যেই তাদের ফরমায়েশ বৃদ্ধি করেছেন। ইউএস পলো এবং গ্যাপ তাদের নিয়মিত ক্রেতা। অপরদিকে আরেক ক্রেতা এক্সপ্রেস দেউলিয়া অবস্থা কাটিয়ে ওঠার পর তারাও তাদের অর্ডার বাড়িয়েছে।

এদিকে, মাসকো গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার (মার্চেন্ডাইজিং) মো. শরাফত হোসেন সোহেল জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো পণ্য সংগ্রহ করতে আগ্রহী একটি শীর্ষ কোরিয়ান ব্র্যান্ড। ইতোমধ্যে তারা মাসকোর কাছে তাদের পণ্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, "ওই ক্রেতার পক্ষ থেকে একটি দল এই সপ্তাহে আমাদের কার্যালয় পরিদর্শন করবে বলে জানিয়েছে।"

তিনি আরো বলেন, মাসকো গ্রুপ প্রতি মাসে বিশ্বমানের ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম' এর জন্য ১০ থেকে ১৫ লাখ পিস গার্মেন্টস পণ্য তৈরি করে। তারা এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়নি। ইতোমধ্যে কারখানাটি ইউরোপীয়দের জন্য পরবর্তী গ্রীষ্মের জন্য ফরমায়েশ নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।

সোহেল বলেন, "আমাদের ইউরোপের দুইজন ক্রেতা ড. ইউনুসের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। তারা দেশের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী।"

জানা গেছে, অন্যান্য বিখ্যাত ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের মধ্যে যেমন জি-স্টার র, এম এন্ড এস, এইচ অ্যান্ড এম এবং ইনডিটেক্স পণ্য সরবরাহে দেরি হওয়ায় কোনো জরিমানা আরোপ করেনি।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এইচঅ্যান্ডএম এবি কোম্পানিগুলোর সুইডিশ বিক্রেতারা বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের জানিয়েছেন, আন্দোলনের কারণে বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর কাছে তারা কোনো ছাড় চাইবেনা।

তবে শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন, বেক্সিমকো এবং নাসার মতো কিছু কোম্পানি তাদের ফরমায়েশ হারাতে পারে। কারণ উৎখাত হওয়া সরকারের সঙ্গে এসব কোম্পানির সম্পর্ক ও এদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাদের থেকে ফরমায়েশ সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে