ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

দেশ থেকে ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার

২০২৪ জুন ০৩ ২২:০৬:৪৭
দেশ থেকে ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।

প্রতিষ্ঠানটির নেতারা মনে করছেন, পাচার হওয়া সেই অর্থ থেকে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব।

আজ সোমবার (০৩ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মিলনায়তনে বিকল্প বাজেট উপস্থাপনকালে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়।

বাজেট উপস্থাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আইনুল ইসলাম। এই সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি সমিতির সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান ও সাবেক সভাপতি আবুল বারকাত।

অর্থনীতি সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে মোট পুঞ্জীভূত কালো টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ কোটি টাকা। আর পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা।

অর্থনীতি সমিতির নেতারা বলছেন, পাচার হওয়া টাকা থেকে আগামী অর্থবছরে যদি কালো টাকার মাত্র ০.৯৮ শতাংশ ও পাচার হওয়া অর্থের ০.৪৯ শতাংশ উদ্ধার করা যায়, তাহলে সরকারের আয় হবে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা।

প্রতিবছরের মতো এবারও বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে অর্থনীতি সমিতি। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য তারা ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে, যা চলতি অর্থবছর সরকারের বাজেটের তুলনায় ১.৫৭ গুণ বেশি।

একইসঙ্গে আগামী অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিতে যাচ্ছেন, তার তুলনায় ১.৪৯ গুণ বড় এই বিকল্প বাজেটের আকার। জাতীয় সংসদে আগামী ৬ জুন প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী।

সমিতির নেতারা বলেন, অন্য কোনও ধরনের বাজেট দিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাঙ্ক্ষিত উত্তরণ-রূপান্তর সম্ভব নয়। বিকল্প বাজেট বাস্তবায়ন করলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিপজ্জনক বৈষম্যপূর্ণ অবস্থা থেকে স্বল্প বৈষম্যপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব।

পাশাপাশি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে দরিদ্র, বিত্তহীন, নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থান থেকে একটি শক্তিশালী টেকসই মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব এ বিকল্প বাজেট বাস্তবায়িত হলে।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম বলেন, অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবিত ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেটে রাজস্ব আয় থেকে আসবে ১০ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৯২.১৩ শতাংশ। আর বাকি ৭.৮৭ শতাংশ।

অর্থাৎ ১ লাখ ৭০ হাজার ৭১৯ কোটি টাকার ঘাটতি অর্থায়ন জোগান দেবে সম্মিলিতভাবে বন্ড বাজার, সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্ব। প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেট অর্থায়নে কোনও দেশি-বিদেশি ঋণের প্রয়োজন হবে না।

সরকারি রাজস্ব আহরণ বাড়াতে সম্পদ কর, অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর, মানি লন্ডারিং ও কালো টাকা উদ্ধার থেকে আয়, বিদেশি নাগরিকদের ওপর কর, বিভিন্ন কমিশন ও বোর্ড থেকে আদায় বৃদ্ধি এবং সরকারের সম্পদের বিভিন্ন উৎস থেকে আদায় বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন নেতারা। অর্থনীতি সমিতি।

অর্থনীতি সমিতি শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে ১২.৮৮ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে ৬.৯৪ শতাংশ, কৃষিতে ৫.৮৯ শতাংশ, স্বাস্থ্যে ৫.২০ শতাংশ, জনপ্রশাসনে ২২.৭১ শতাংশ, পরিবহন ও যোগাযোগে ২.৪৬ শতাংশ বরাদ্দ দিয়েছে বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনায়।

শেয়ারনিউজ, ০৩ জুন ২০২৪

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে