ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

রাইসির মৃত্যুতে ইরানেই আতশবাজি পুড়িয়ে উৎসব!

২০২৪ মে ২০ ২০:০১:৪৪
রাইসির মৃত্যুতে ইরানেই আতশবাজি পুড়িয়ে উৎসব!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্স ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর পাওয়ার পর তেহরান ও মাশহাদের রাস্তায় জড়ো হয় বহু মানুষ। তারা রাইসির মৃত্যুতে সমবেদনা জানান এবং তাঁর জন্য দোয়া করেন।

কিন্তু ঠিক সেই সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ঘটনা নিয়ে হাস্যকর পোস্ট দেন কেউ কেউ। আর রাইসির মৃত্যুর খবরে কিছু এলাকায় শুরু হয় উৎসবের আমেজ।

রোববার (১৯ মে( হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত হযন। এই ঘটনায় দেশটি ৫ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। গোটা বিশ্ব যখন এই খবরে স্তম্ভিত, তখন ইরানেই আতশবাজিতে উৎসব করতে দেখা যায়। কারণ কী?

ইরানি সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানায়, রাইসির মৃত্যুর খবর সামনে আসার আগেই এই উদযাপন দেখা গেছে। তাদের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সেই ভিডিওগুলো হাতে পেয়েছেন। একটি ভিডিওতে, তেহরানের এক ব্যক্তিকে বলতে দেখা যায়, "আসুন রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সুসংবাদ উদযাপন করি।"

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর সদস্যরা ইতিমধ্যেই এই উৎসব বন্ধ করতে মাঠে নেমেছেন।

এই উদযাপনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইসরায়েলি ও ইরানের সাংবাদিক ও বিশ্লেষক জোনাথন হারোনফ ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, "রাইসি একজন রক্ষণশীল নেতা ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি বর্বর বিচার ব্যবস্থা প্রয়োগ করে নিজের আসনটি সুরক্ষিত করেছেন। তার হাতে হাজার হাজার বন্দী প্রাণ হারিয়েছেন। আর এই কারণেই তাকে তেহরানের কসাই বলা হয়।

বেশ কয়েকজন নারী মানবাধিকার কর্মী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনিকে হত্যার কথা স্মরণ করেছেন। এই কারণে আজকে ‘বিশ্ব হেলিকপ্টার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে তারা। এই সময় অনেককে নাচতে দেখা যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ইরানিদেরও আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। লন্ডনের এই ভিডিওগুলির মধ্যে কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর বাইরে যারা ইরান সরকারের রোষানলে পড়ে দেশ ছেড়েছেন, তারাও উল্লাস করছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল ​​জানায়, ইব্রাহিম রাইসি ইরানের একজন ধর্মীয় ‘কট্টরপন্থী’ নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ইরানে বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘন এবং নারীদের জন্য কঠোর 'হিজাব ও সতীত্ব আইন' প্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

২০২২ সালে পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনীর মৃত্যুর পর, সরকারবিরোধী দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়। হিজাব না পরার কারণে মাহসাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুধু তাই নয়, ১৯৮৮ সালে ইরানে রাজনৈতিক বন্দীদের গণহত্যার পিছনে রাইসির হাত ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এই কারণে রাইসি "তেহরানের কসাই" হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

শেয়ারনিউজ, ২০ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে