ডেস্ক রিপোর্ট : সুন্দরী প্রতিযোগিতা জেতার সাত মাস পর মুকুট ত্যাগ করেছেন মিস ইউএসএ নোয়েলিয়া ভয়েট। কয়েকদিন পর মিস টিন ইউএসএ উমা সোফিয়া শ্রীবাস্তবও নোলিয়ার পথ অনুসরণ করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, কর্মক্ষেত্রে বিষাক্ত কর্মসংস্কৃতিই এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ বলে জানিয়েছেন দুই সুন্দরী। এখন প্রাক্তন মিস ইউএসএ এবং মিস টিন ইউএসএর মায়েরা তাদের কন্যাদের শিরোনাম থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন।

একজন মা ইউএস মর্নিং নিউজ শোকে বলেছেন,‘তাদের স্বপ্নের শিরোনাম দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে’। উভয় প্রতিযোগী গত সপ্তাহে একে অপরের থেকে মাত্র একদিনের ব্যবধানে মুকুট ত্যাগ করেছেন। মিস ইউএসএ এবং মিস টিন ইউএসএ প্রতিযোগিতার কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে বলেছে, তারা দুই শিরোপাধারীর পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে এবং একজন উত্তরসূরি ঘোষণা করবে। প্রতিযোগিতার রানার আপ, সাভানা গ্যাঙ্কিয়েউইচকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে নাকি সম্পূর্ণ নতুন বিজয়ীকে বেছে নেওয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি।

মুকুট ছাড়ার পর নয়েলিয়া বলেন, আমি জানি- আমার জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা। বরাবরের মতো আমি মানুষের পাশে থাকব, তাদের অনুপ্রেরণা দেব। সবাইকে বলব, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। মানুষকে নিজের এবং অন্যদের জন্য সোচ্চার হতে বলুন।

নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নোলিয়া ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘এটা অনেকের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। তবে কখনই আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে আপস করবেন না। আমাদের স্বাস্থ্য আমাদের সম্পদ। আপনার নিরন্তর এবং অটুট সমর্থনের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করি জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে আপনারা আমার পাশে থাকবেন।’

নোলিয়া ভয়েট ভেনিজুয়েলার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। উটাহ রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, সুন্দরী প্রথম ভেনেজুয়েলা-আমেরিকান হন যিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিরোপা জিতেছিলেন, ফাইনালে মিস হাওয়াই সাভানাহ গ্যাঙ্কিয়েইজ এবং মিস উইসকনসিন অ্যালেক্সিস লুমানসকে পরাজিত করেন।

এবিসি নিউজ মিস টিন ইউএসএ উমাসোফিয়া শ্রীবাস্তবের মা বারবারা শ্রীবাস্তব এবং প্রাক্তন মিস ইউএসএ নোলিয়া ভয়টের মা জ্যাকুলিন ভয়টের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

উভয়ের মা বলেছেন তাদের মেয়েরা “নির্যাতিত, উত্যক্ত এবং কোণঠাসা” হয়েছে। তারা মিস ইউনিভার্স সংস্থার কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সময়ে, মিস ইউএসএ-এর মতো সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে যে, তারা চায় না অন্য মায়ের মেয়েরাও একই ধরনের নির্যাতনের শিকার হোক।

শেয়ারনিউজ, ১৫ মে ২০২৪