ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

বন্দী ইসরায়েলি তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব হামাস যোদ্ধার

২০২৪ এপ্রিল ২৭ ১১:২৬:২৭
বন্দী ইসরায়েলি তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব হামাস যোদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নোগা ওয়েইসকে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের একটি কিবুতজে তার বাড়ি থেকে হামাস যোদ্ধারা অপহরণ করে। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণী পরে ৫০ দিন বন্দী ছিলেন হামাসের গোপন আস্তানায়। গত বছরের ২৫ নভেম্বর এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান তিনি।

সংবাদমাধ্যমকে বন্দিদশার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নোগা জানিয়েছেন, হামাসের এক যোদ্ধা তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এবং তার গর্ভে সন্তানের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন।

নোগা জানিয়েছেন, বন্দিদশার ১৪তম দিনে প্রেমে পড়া ওই হামাস যোদ্ধা তাকে একটি আংটি দিয়েছিলেন। এই আংটি মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তার সঙ্গেই ছিল।

হামাসের ওই যোদ্ধা সম্পর্কে নোগা বলেন, ‘তিনি আমাকে বলেছিলেন—সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু তুমি এখানে আমার সঙ্গে থাকবে এবং আমার সন্তানদের জন্ম দেবে।’

হামাস যোদ্ধার এমন প্রস্তাবের কী প্রতিক্রিয়া ছিল? নোগা বলেন, ‘আমি হাসির ভান করেছি, যাতে সে আমার মাথায় গুলি না করে।’

গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা যখন ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায়, নোগা ওয়েইস তখন কিবুতজে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। সেদিন তার বাবা ইলান ওয়েইস কিবুতজের জরুরি দলে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। পরে জানা যায়, হামাস যোদ্ধারা তাকে হত্যা করেছিল এবং তার লাশটি গাজায় নিয়ে গিয়েছিল।

নোগা জানান, সেদিন হামাস যোদ্ধারা তাদের বাড়ির দরজায় প্রায় ৪০টি গুলি ছোড়ে। পরে দরজাটি ভেদ করে যোদ্ধারা বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে। বাড়িতে থাকা নোগা এবং তার মা অবশ্য ততক্ষণে জেনে গিয়েছিলেন শহরে কী ঘটছে!

এ অবস্থায় নোগার মা শিরি ওয়েইস মেয়েকে বিছানার নিচে গিয়ে লুকানোর কথা বলেন। তিনি ভেবেছিলেন যোদ্ধারা তাকে দেখে হত্যা করবে, আর নোগা বেঁচে যাবে।

শেষ পর্যন্ত মা-মেয়ে দুজনকেই অপহরণ করে গাজায় গিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। যদিও তারা একে অপরের পরিণতি নিয়ে কিছুই জানতেন না। বন্দিদশার বেশ কয়েক দিন পর মা-মেয়ের দেখা হয়েছিল।

নোগা জানান, তার মাকে তার কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল—কারণ অপহরণকারীদের একজন তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। বিয়েতে সম্মতি দিতেই নোগার কাছে তার মাকে নিয়ে আসা হয়। তবে তার মা বিনয়ের সঙ্গে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর মা-মেয়ে দুজন একসঙ্গেই হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়েছিলেন।

শেয়ারনিউজ, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে