ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

বাংলাদেশি জাহাজ ছিনতাই, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল ইউরোপীয় নৌবাহিনী

২০২৪ মার্চ ১৫ ১৫:০৭:০৯
বাংলাদেশি জাহাজ ছিনতাই, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল ইউরোপীয় নৌবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

জাহাজটি ইতোমধ্যে সোমালিয়ার একটি বন্দরে নোঙর করেছে। এবার বাংলাদেশি ওই জাহাজে কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জানিয়েছে, গেল ডিসেম্বরে রুয়েন নামে মাল্টিজ-পতাকাবাহী একটি বাল্ক কার্গো জাহাজ আটক করেছিল সোমালি জলদস্যুরা।

দুদিন আগে (মঙ্গলবার) সোমালিয়া উপকূল থেকে বাংলাদেশের পতাকাবাহী যে পণ্যবাহী জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে; এই কাজে তারা (দস্যুরা) রুয়েনকে ব্যবহার করে থাকতে পারে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ২০১৮ সাল পর্যন্ত এক দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক জলপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রেখেছিল সোমালি জলদস্যুরা। এরপর তাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড কমে আসলেও, গত বছরের শেষ দিক থেকে বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করে।

ছিনতাই হওয়া জাহাজ ব্যবহার করে মঙ্গলবার জলদস্যুদের হামলার (বাংলাদেশি জাহাজে) তথ্য সঠিক হয়ে থাকলে তা এই দস্যুদের পুরনো কৌশলে ফিরে আসাকেই বুঝাবে। অর্থাৎ তারা যে আগের মতোই সক্রিয় হয়ে উঠেছে, এ ঘটনা হবে তারই প্রমাণ। ইইউ’র জলদস্যুতা বিরোধী অভিযান ইউন্যাভফর (EUNAVFOR)-এর তথ্যানুযায়ী, ছিনতাইয়ের সময় অন্তত ১২ জলদস্যু এমভি আবদুল্লাহ-তে উঠেছিল। ইউন্যাভফর বলছে, এমভি রুইন ছিনতাই করা জলদস্যুরাই এই ছিনতাইকাণ্ডে (বাংলাদেশি জাহাজ) অংশ নিয়ে থাকতে পারে। তবে এমভি আবদুল্লাহ’র ক্রুরা নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে। এদিকে ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে জানিয়েছে, অন্যান্য বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালানোর জন্য ‘মাদারশিপ’ হিসেবে এই জাহাজটিকে (এমভি রুয়েন) ব্যবহার করা হতে পারে বলে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল।

শেয়ারনিউজ, ১৫ মার্চ ২০২৪

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে