ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

ঈদের আনন্দে ভাগ বসাতে চান জিম্মি নাবিকরা, দেশে ফেরার আকুতি

২০২৪ মার্চ ১৫ ১১:১৯:০২
ঈদের আনন্দে ভাগ বসাতে চান জিম্মি নাবিকরা, দেশে ফেরার আকুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সোমালিয়ার উপকূলে পৌঁছানোর পর জলদস্যুরা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ব্রিজ থেকে ক্রুদের কেবিনে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক নাবিক তার ভাইকে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে নাবিকের ছোট ভাই এই ভয়েস মেসেজ পেয়েছেন।

আমরা সুস্থ থাকলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত জানিয়ে ভয়েস মেসেজে ওই নাবিক বলেন, ‘গতকাল একটি নেভি জাহাজ এসেছিল৷ আজকেও একটি নেভি জাহাজ এসেছিল৷ মোট দুটি সুসজ্জিত জাহাজ আমাদের রেসকিউ করতে চেয়েছিল৷ তবে তা সম্ভব হয়নি।'

তিনি বলেন, ‘ওরা (জলদস্যুরা) আমাদের জিম্মি করে রাখে, আমাদের মাথায় বন্দুক ধরে রাখে৷ নেভির বড় বড় ফ্রিগেট দেখেই ওরা আমাদের জিম্মি করে৷ এসব বড় জাহাজ দেখেও ওরা ভয় পায় না৷'

তিনি আরও বলেন, ‘জলদস্যুরা এখন পর্যন্ত কাউকে আঘাত করেনি। তবে, আমি যেখানে ঘুমাই সেখানে পাশ ফিরলেই দেখতে পাই যে আমার দিকে বড় বড় মেশিনগান তাক করে রেখেছে৷ এই অবস্থায় ঘুম যা হওয়ার হচ্ছে। তারপরও মানসিকভাবে চাপে থাকলেও সুস্থ থাকার চেষ্টা করছি৷'

তিনি জানান, জাহাজে থাকা খাবার তাদের সঙ্গে জলদস্যুরাও খাচ্ছে এবং এর ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এখনো খাবার আছে৷ কিন্তু, যেহেতু জলদস্যুরাও আমাদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে, আমাদের খাবার আর কতদিন যাবে সেটা বলতে পারছি না। আর হয়তো ১০-১৫ দিন বড়জোর যেতে পারে৷ এরপর খাবার শেষ হয়ে গেলে আমরা খুব কষ্টে পড়ে যাব। পানি শেষ হয়ে গেলে খুব কষ্টে পড়ে যাব৷

সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছানোর পর ক্রু সদস্যদের সঙ্গে জলদস্যুদের ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে আমরা সোমালিয়া এলাম। ওদের সঙ্গে আমাদের একটু ভালো রিলেশন হয়েছে। ওদের বলে কয়ে আমরা একটু কেবিনে এলাম। কিন্তু আবার ব্রিজে চলে যেতে হবে।

নাবিক আরও বলেন, আমি আশা করি শিগগির পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারব। ঈদের আগে যেন পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারি, সেটাই আমরা চাই।

শেয়ারনিউজ, ১৫ মার্চ ২০২৪

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে