ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

‘ইউনূসের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না’

২০২৪ জানুয়ারি ০১ ২০:৩৪:৩৯
‘ইউনূসের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। তবে কারাদণ্ডের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন ঢাকা।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আজ সোমবার (০১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের এই ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার ওই আদালত। রায়ে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

এদিকে রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ড. ইউনূস বলেছেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষে শাস্তি পেলাম। এই দুঃখটা মনে রয়ে গেল।’

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এদিন রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ড. ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আবেদনের পর তাঁকে এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে জামিন দেওয়া হয়।রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসের ব্যারিস্টর আবদুল্লাহ আল মামুন এই রায়কে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন।

ব্যারিস্টর আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, শ্রম আদালতের এ রায় অপূর্ণাঙ্গ। ড. ইউনূস আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাননি।

অপরদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের যে মামলা করেছিল, সেটি আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, শ্রম আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। তারা (গ্রামীণ টেলিকম) শ্রম আইন না মেনে নিজস্ব আইন মেনেছেন। এজন্য দুবার তাদের কারণ দর্শানো হয়। তারা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। তাদের যে ত্রুটিগুলি ছিল, সেটি তারা সংশোধন করেনি।

রায়ে ড. ইউনূসের পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের যেসব ধারায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, সেসব ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা।

এর আগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেছিল সরকারি সংস্থা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে, শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি।

প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না। মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং ডিভিডেন্ডের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না।

অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে গত ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চার বিবাদী লিখিতভাবে আদালতকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী।

শেয়ারনিউজ, ০১ জানুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে