ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

অগ্নিসন্ত্রাস-হত্যাকান্ডে বিএনপির আবারও ফিরে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী

২০২৩ নভেম্বর ০৩ ১৮:১০:৩৫
অগ্নিসন্ত্রাস-হত্যাকান্ডে বিএনপির আবারও ফিরে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ড আবারও ফিরে এসেছে। সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিএনপির যে অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের যে বীভৎস চেহারা, তারা যে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করে, একজন নিরীহ পুলিশ চাকরি করে, তার কী অপরাধ ছিল? তাকে ওইভাবে, অমানবিকভাবে হত্যা করল।

সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি ২০১৩ সালে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য একই ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০১৫ তে ঘটিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা, আগুনেও পোড়ানো, হাজার হাজার গাছ কেটে রাস্তা কেটে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণ যখন প্রতিরোধ করেছিল তখনই তারা থেমেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচন করলে তাদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? বিএনপি চেয়ারপারসন, সে তো এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ। ওরা (বিএনপি) জানে নির্বাচন করলে ওরা কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০১৮ নির্বাচনে তো মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছিল। এখন তাদের অপকর্মের জন্য মানুষ আরও বিমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমি বলব সময় এসে গেছে, এই অগ্নিসন্ত্রাসীরা যে যেখানে থাকুক, যারাই এভাবে আগুন দেবে, জনগণের ওপর অত্যাচার করবে, গাড়ি-বাস-ট্রাকে আগুন দেবে, সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। কারো ওপর নির্ভর করলে হবে না, জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সাল থেকে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারের যে আন্দোলন সূচনা করেছিলেন, তারই পথ বেয়ে জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। জাতির পিতার নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়, স্বাধীনতা অর্জন হঠাৎ করে হয় না। দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় অর্জন। তার জন্য অনেক সংগ্রাম, অনেক রক্ত, ত্যাগ আমাদের করতে হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল আমাদের জাতীয় চার নেতাকে। কারাগার সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা, এই কারাগারই ঢুকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন মায়া বীরবিক্রম, সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান অন্যান্যোর মধ্যে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ।

শেয়ারনিউজ, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে