ঢাকা, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
Sharenews24

নতুন জিএসপি-তে বাংলাদেশের পোশাক পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র

২০২৩ সেপ্টেম্বর ২১ ০৬:৫৪:৩৮
নতুন জিএসপি-তে বাংলাদেশের পোশাক পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির নতুন জিএসপি কর্মসূচিতে বেশকিছু তৈরি পোশাক (আরএমজি) পণ্য অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

বাংলাদেশ সরকারকে তারা আরও বলেছেন, এতে বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভূক্ত হলে এবং নির্ধারিত শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে– শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাংলাদেশ আরএমজি পণ্য রপ্তানি করতে পারবে।

গতকাল বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) সংক্রান্ত পরিষদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিরা একথা জানান।

বাণিজ্য মন্ত্রণাল একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য নিবন্ধনের ফি কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রের তুলায় তৈরি আরএমজি পণ্য রপ্তানিতে শুধু বাংলাদেশে মূল্য-সংযোজিত দামের উপর শুল্কারোপের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি।

সভাশেষে বাণিজ্য সচিব জানান, বাংলাদেশে শ্রম অধিকার, শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশ অনুযায়ী, শ্রম আইন সংশোধন করার মত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি জানান, কারখানায় শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধান আরো সহজ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে যে কোন কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করতে হলে অন্তত ২০ শতাংশ শ্রমিকের লিখিত সম্মতির প্রয়োজন হয়। এটি কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বলেছে, নতুন জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশ দুইভাবে পেতে পারে। একটি হলো- জিএসপি সুবিধা পাওয়ার জন্য যেসব কমপ্লায়েন্সের শর্ত থাকবে, সেগুলো অর্জন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবে হবে'- জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক (আরএমজি) পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয় বাংলাদেশকে। এছাড়া, বর্তমানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাহিদার ১৪ শতাংশ তুলা আমদানি করছে।

তবে জিএসপি সুবিধা কার্যকরের কোনো তারিখ জানা যায়নি। কারণ কবে নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জিএসপি কর্মসূচি কার্যকর হবে– টিকফা বৈঠকে সে সম্পর্কে কোন তথ্য দেননি মার্কিন কর্মকর্তারা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার জানান, ২০১৩ সালে স্থগিত হওয়া জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের প্রস্তাব করেনি বাংলাদেশ। তবে ২০০৫ সালে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) হংকং মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে 'শুল্ক মুক্ত, কোটা মুক্ত' সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।

জবাবে বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি কর্মসূচির মেয়াদ ২০২০ সালে শেষ হয়েছে। তারা এখন নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত করছেন, যা এখন সিনেটে পর্যালোচনাধীন রয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে