পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন দেশে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে । বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় এই অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সক্রিয় তৎপরতা চলছে।
অভিযান শুরু করেছে সিঙ্গাপুর, কানাডা, কাতার, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ শহরকেন্দ্রিক বিভিন্ন দেশ। এতে বেশকিছু সম্পদ ও অর্থ পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারীরাও আতঙ্কে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। কারণ, জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনে সই করেছে বাংলাদেশ। ফলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আগে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে উদ্যোগ নিতে পারে। তবে এই ব্যাপারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সংশ্লিষ্ট দেশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা না থাকলে অর্থ ফেরত আনা কঠিন।
জানা যায়, ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার বেপরোয়াভাবে বেড়েছে। ইতোমধ্যে পাচারকারী কিছু ব্যক্তির নাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ৬টি সংস্থার রিপোর্টে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের তথ্য আসছে। এগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই), সুইস ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (আইসিআইজে) প্রকাশিত পানামা প্যারাডাইস ও পেনডোরা পেপারস, জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) রিপোর্ট এবং মালয়েশিয়ার প্রকাশিত সে দেশের সেকেন্ড হোম রিপোর্ট।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও সিঙ্গাপুরে বেশকিছু বাংলাদেশির অর্থ পাচারের তথ্য মিলেছে। পানামা, প্যারাডাইস এবং প্যানডোরা পেপারস এ পর্যন্ত অর্থ পাচারকারী হিসাবে ৯০ জন ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ করেছে।
জিএফআই সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে, যা বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের প্রায় সমান। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে ২০টি পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব।
এছাড়া এই অর্থে ৭০৫ বার চাঁদে যাওয়া যায় (ভারতের চন্দ্রাভিযানের খরচ ৮৫০ কোটি টাকা হিসাবে)। বাংলাদেশ থেকে পাচার করা এই অর্থের বড় অংশই শীর্ষ ১০ দেশে। এগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কানাডা, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, হংকং ও থাইল্যান্ড।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশ থেকে ভারতে অর্থ পাচারের তথ্য আসছে। বর্তমানে এর অধিকাংশ দেশেই অভিযান চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ন্যাটো সদস্যভুক্ত অন্যান্য দেশ। তবে অনেক আগে থেকেই এই যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন।
পশ্চিমাদের ধারণা, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আগেই তাদের বিবেচনায় ছিল। ফলে রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য কিছু অংশ অন্য দেশে সরিয়ে আনে।
এছাড়াও যুদ্ধ শুরুর পর এই অঞ্চলের অনেক দেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। ফলে রাশিয়া এবং মিত্র বিভিন্ন দেশের সম্পদের খোঁজে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত বিভিন্ন দেশ। তাই সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাত, কাতারসহ শহরকেন্দ্রিক বিভিন্ন রাষ্ট্রের ওপর নজর রাখছে পশ্চিমারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রে। এক্ষেত্রে কিছু অর্থ পাচারকারীর সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি আরোপের ফলে দেশটিতে নতুন করে অর্থ পাচার কমবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এসব ইস্যুতে বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি অনুসরণ করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডস। ফলে এসব দেশেও পাচারকারীদের স্বস্তি মিলবে না।
এছাড়াও বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ৮ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ। এই সময় তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ভবিষ্যতে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা এ দুর্নীতিসংক্রান্ত সমস্যাটিকে অগ্রাধিকার দেবে। তিনি বলেন, আমরা চাই সব দেশ সহযোগিতা করুক। একটি একক দেশ বা প্রতিষ্ঠান এটা করতে পারে না।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, তিনি সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন, যাতে সমাজে কোনো দায়মুক্তি ও বিরূপ প্রভাব না পড়ে। পররাষ্ট্র সচিব জানান, মার্কিন কর্মকর্তা তাকে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি হাতিয়ার।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি প্রতিরোধে সক্ষমতা বাড়ানোর কথাও বলেছি এবং যেসব দেশ পাচারকৃত অর্থ পেয়েছিল, তাদের সমর্থনের কথাও বলেছি।’
এদিকে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) নীতিমালা মেনে এই অভিযান। এক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন সংশোধন করেছে সিঙ্গাপুর। সম্প্রতি দেশটির পুলিশ অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযান চালায়। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার করা ১০০ কোটি ডলারের অর্থসম্পদ জব্দ করা হয়। অভিযানে ১০ জন বিদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন আরও ২০ জন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে মালয়েশিয়া। দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা চলতি বছরের জুলাইয়ে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু সম্পদ জব্দ করে। ২শ কেজি স্বর্ণ, নগদ অর্থ এবং অন্যান্য সম্পদ রয়েছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ পাচারের নিরাপদ স্থান হিসেবে খ্যাত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিখ্যাত শহর দুবাই। সম্প্রতি দেশটি ৫০টি কোম্পানির নিবন্ধন স্থগিত করেছে। এছাড়াও ২২৫টি কোম্পানিকে জরিমানা করেছে তারা। সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে এখন কাজ করছে দেশটির বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
শেয়ারনিউজ, ২৭ আগস্ট ২০২৩
পাঠকের মতামত:
- জাপান সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: বাজেটে আসছে বড় কর ছাড়
- চলতি সপ্তাহে ৪ কোম্পানির এজিএম
- চলতি সপ্তাহে আসছে ২ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- আইএফআইসি ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- রূপালী ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- এনআরবি ব্যাংকের ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ
- এবি ব্যাংকের ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ
- এবার প্রবেশ বন্ধ সুন্দরবনে
- ফারুককে অপসারণের কারণ জানালেন উপদেষ্টা
- মামলা না হলে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি
- প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে শিয়ালের মাংস
- এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে হাজির হাথুরু
- ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শিবির নেতার
- সুসংবাদ! বাংলাদেশকে বড় চমক দিচ্ছে চীন
- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের গ্রেপ্তারের সত্যতা
- অবশেষে স্বীকার করল ভারত
- সৌদির হঠাৎ সিদ্ধান্তে বিপাকে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশের টাকার নকশার নেপথ্য নায়ক যিনি
- কাল থেকে বন্ধ হচ্ছে ‘হোয়াটসঅ্যাপ’
- নতুন বাজেটে যেসব পরিবর্তন আসছে
- সংস্কার ও বাজেটের হাওয়ায় চাঙা হওয়ার পথে শেয়ারবাজার
- গরম নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
- সুখবর জানালেন স্বাস্থ্য সচিব
- বিএনপির সঙ্গে গোপন চুক্তি নিয়ে যা বললেন হাসনাত
- ব্লক মার্কেটে ‘এ’ ক্যাটাগরির ৯ কোম্পানির ঝলক
- এবার লিচুর নতুন নাম দিলেন ভাইরাল সেই ‘মধু’ রনি
- পতনের বাজারে লেনদেনে অগ্রসর ৮ খাত
- সাকিবের দলে ফেরা প্রসঙ্গে যা বললেন নতুন বিসিবি সভাপতি
- গরমকালে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে ফল খাবেন
- তরুণ নেতৃত্বকে সতর্ক করলেন রিজওয়ানা হাসান
- এনআইডি–দলিলের নামের মিল না থাকলে যা করতে হবে
- সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে
- সপ্তাহজুড়ে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার কোটি টাকা
- জাতিসংঘ দিবসে সেনাপ্রধানের আবেগঘন ভাষণ
- আশার আলো উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে
- যে কারণে টাকার পরিমাণের সঙ্গে ‘মাত্র’ লেখা হয়
- ৩১ মে বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট
- যে ৫ লক্ষণ থাকলেই হতে পারে ভয়াবহ বিপদ
- এনসিপির ত্যাগপত্রে যা লিখলেন সিফাত
- বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
- ক্ষমা চেয়েও বিতর্ক এড়াতে পারছেন না যুবদল নেতা নয়ন
- শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল বাতিল, আসছে নতুন কমিটি
- ডিভিডেন্ডের মুখ দেখলেন ৪ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ডের মুখ দেখলেন না ১১ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- পল্লী বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে সরকারের ভূমিকা স্বৈরাচারী: আনু মুহাম্মদ
- এবার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কালি লেপন
- ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে অপু বিশ্বাসের চাঞ্চল্যকর দাবি
- ভুয়া কাগজপত্রে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টায় ধরা বিমানের কেবিন ক্রু
- বিপাকে ভারত: কড়া বার্তা দিল ওয়াশিংটন
- বিচারপতি মানিক মারা গেছেন
- পলকের জেলে বইয়ের তালিকা দেখে সবাই হতবাক
- ১৮ ভিআইপির দেশত্যাগের প্রস্তুতি: গুঞ্জন সর্বত্র
- কাল থেকে বন্ধ হচ্ছে ‘হোয়াটসঅ্যাপ’
- ২১০ হজযাত্রীসহ বিমান বিধ্বস্তের বিষয়ে যা জানা গেল
- নতুন নিয়মে বিপাকে মাদ্রাসা শিক্ষকরা
- ভারতের বর্ডারে নিজের সেই ভিডিও নিয়ে যা বললেন পিনাকী
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণায় আরও ডুবে গেল শেয়ারবাজার
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাব
- সংকটে থাকা ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ
- জেড ক্যাটাগরি ও শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানির জন্য নতুন নির্দেশনা
- আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন হিরো আলম
- বাথরুমে বন্দি ওবায়দুল কাদেরের পালানোর নাটকীয় রহস্য ফাঁস
- আর্থিক দুরবস্থার ১৮ ব্যাংকের ডিভিডেন্ড নিষিদ্ধ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক