ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

১৯ দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের পুনরায় যাচাইয়ের ঘোষণা!

২০২৫ নভেম্বর ২৮ ১০:৩৫:৩৮
১৯ দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের পুনরায় যাচাইয়ের ঘোষণা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানসহ ১৯ দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের নথিপত্র পুনরায় কঠোরভাবে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওয়াশিংটনে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করার ঘটনার পরই এ নির্দেশনা আসে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

হোয়াইট হাউসের কাছে ঘটে যাওয়া বন্দুক হামলায় আহত এক ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ইতোমধ্যেই মারা গেছেন, আরেকজন জীবন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনার পর মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা (ইউএসসিআইএস)-এর প্রধান জোসেফ এডলো জানান, উদ্বেগজনক দেশগুলো থেকে আগত প্রত্যেক বিদেশির গ্রিন কার্ড ‘সম্পূর্ণ ও কঠোরভাবে’ পুনরায় পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বিবিসির বরাতে জানা যায়, হোয়াইট হাউসের জুন মাসের এক ঘোষণায় যে দেশগুলোর নাম উল্লেখ ছিল, তার মধ্যে রয়েছে— আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান, সোমালিয়া, ভেনেজুয়েলা, আরও কয়েকটি দেশসহ মোট ১৯টি।

ওয়াশিংটন ডিসির হামলার ঘটনায় আটক করা হয় রহমনুল্লাহ লাখানওয়াল নামে ২৯ বছর বয়সী এক আফগান নাগরিককে। তিনি ২০২১ সালে বিশেষ অভিবাসন কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন—যা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের সুরক্ষার জন্য চালু করা হয়েছিল।

ট্রাম্প বলেন, এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির ইঙ্গিত দেয়। আগের প্রশাসন যাচাই–বাছাই ছাড়াই বিপুলসংখ্যক মানুষকে দেশে ঢুকতে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এডলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, দেশের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার; আগের প্রশাসনের ‘বেপরোয়া পুনর্বাসন নীতি’-র খেসারত আর আমেরিকানদের দিতে হবে না।

তবে গ্রিন কার্ড পুনরায় পরীক্ষার প্রক্রিয়া কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইউএসসিআইএসের জুন মাসের ঘোষণায় বলা হয়েছিল— বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সীমিত করার লক্ষ্য হলো ‘বিদেশি সন্ত্রাসী, জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার হুমকি’ থেকে দেশকে রক্ষা করা। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ, ভিসাধারীদের অতিরিক্ত অবস্থান, বৈধ নথি যাচাইয়ের সক্ষমতা না থাকা—এসব কারণে কোনো দেশকে তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।

ঘোষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, তালেবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে বৈধ পাসপোর্ট বা নাগরিক সংক্রান্ত কাগজপত্র ইস্যুর নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা নেই, যা অভিবাসন যাচাইকে জটিল করে তোলে। তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে— মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লিবিয়া ইত্যাদি।

এদিকে, গত সপ্তাহে ইউএসসিআইএস ঘোষণা করেছিল যে বাইডেন প্রশাসনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়া সব শরণার্থীর স্ট্যাটাসও পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র আফগানদের সব ধরনের অভিবাসন আবেদন গ্রহণ স্থগিত করে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে