ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

এবার মুফতি কাসেমীর বিরুদ্ধে ৩য় স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ

২০২৫ অক্টোবর ১৭ ১৪:৩৮:৪৫
এবার মুফতি কাসেমীর বিরুদ্ধে ৩য় স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘শরিয়াভিত্তিক বিবাহ’ সেবা দেওয়ার নামে একাধিক নারীকে প্রতারণা এবং ‘চুক্তিভিত্তিক বিয়ের’ মাধ্যমে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে ‘আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরো’র প্রতিষ্ঠাতা মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে ‘তামান্না হাতুন’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে নিজেকে কাসেমীর তৃতীয় স্ত্রী দাবি করে ওই নারী এই অভিযোগ প্রকাশ করেন।

ওই নারীর দাবি, তিনি এক বছর ধরে মুফতি কাসেমীর সঙ্গে মৌখিকভাবে সংসার করছিলেন, যেখানে কাবিননামায় ১০ হাজার টাকা উল্লেখ ছিল। পরে তালাক দেওয়া হলেও কাসেমী তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং বলেন, “সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।”

নারীটি জানান, তিনি গর্ভবতী হওয়ার পর কাসেমী তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর যখন তিনি কাসেমীকে সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবর দেন, তখন কাসেমী বলেন, “এই সন্তান অবৈধ। এটা থাকলে আমরা বিপদে পড়ব। এটা মুছে ফেলো।”

অভিযোগ অনুযায়ী, কাসেমীর দুলাভাইয়ের প্রথম স্ত্রী তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, এবং জোর করে গর্ভপাত করানো হয়।

ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরোর মাধ্যমে নারীদের এক মাস বা দুই মাসের জন্য “চুক্তিভিত্তিক বিয়ের” ব্যবস্থা করা হয়, বিশেষ কিছু ব্যক্তির জন্য। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর নারীদের দায়ী করা হয়, বলা হয়—“বউ বেশি তর্ক করতো, তাই ছেড়ে দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “একদিকে নারীদের ‘বাড়ি-সংসার’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, অন্যদিকে তাদের ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়।”

নারীটির দাবি, গর্ভপাতের তিন দিন পর কাসেমী কুষ্টিয়ায় গিয়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বিয়ে করেন, যা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

তিনি আরও জানান, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে তিনি কাসেমীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন।

নারীটি দাবি করেন, তার মাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে—যদি অনলাইনে এ বিষয়ে মুখ খোলা হয়, তাহলে তার সৎ বাবা তাকে তালাক দেবেন।

ওই নারী বলেন, “আমি সবসময় মনে করতাম আমি ভালো কিছু করছি। কিন্তু এখন বুঝি, কতটা ভুল ছিলাম। ওদের (ব্যুরোর) মুখোশ না খুললে, আরও অনেক নারী এমন প্রতারণার শিকার হবে।”

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই অভিযোগগুলোকে “মিথ্যা” বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি বিস্তারিতভাবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।”

এর আগে ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান সম্পর্কেও তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন—যার মধ্যে ছিল অন্য নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক, মানসিক নির্যাতন ইত্যাদি।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে