ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বেসরকারি খাতে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ক্রেডিট ব্যুরোর লাইসেন্স

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৪ ১০:২৬:১৭
বেসরকারি খাতে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ক্রেডিট ব্যুরোর লাইসেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋণের গুণগত মান বাড়াতে বেসরকারি খাতে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে ক্রেডিট ব্যুরোর লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর নিজ কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে আগ্রহপত্র বা লেটার অব ইনটেন্ট (LOI) তুলে দেন।

লাইসেন্স পাওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো:

ক্রেডিট ইনফো বিডি ক্রেডিট ব্যুরো

ট্রান্স ইউনিয়ন

বিকাশ

সিটি ক্রেডিট ব্যুরো

ফার্স্ট ন্যাশনাল ক্রেডিট ব্যুরো

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, “গভর্নর প্রাথমিকভাবে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন। তারা লাইসেন্স পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করে পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফিজিক্যাল যাচাই-বাছাই শেষে বাণিজ্যিকভাবে লাইসেন্স দেবে।”

সূত্র মতে, ২২টি প্রতিষ্ঠান এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি ও ব্যবসায়িক দিক দিয়ে মূল্যায়ন করে স্কোরিংয়ের ভিত্তিতে শীর্ষ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই ব্যুরোগুলো দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের লেনদেন ও ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করবে। ব্যাংকগুলো ঋণ দেওয়ার আগে এসব তথ্য যাচাই করে ঋণের ঝুঁকি নিরূপণ করতে পারবে।

নীতিমালার মূল বিষয়সমূহ

২০২৫ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি খাতে ক্রেডিট ব্যুরো প্রতিষ্ঠার জন্য নীতিমালা জারি করে। এতে বলা হয়:

ব্যুরোগুলো গ্রাহকের ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের সক্ষমতা বিশ্লেষণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে পারবে।

গ্রাহক ব্যাংকের হলে বা না হলেও, তার আর্থিক ইতিহাসের ভিত্তিতে ঋণযোগ্যতা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

এতে শুধু ঋণ ঝুঁকি কমবে না, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিও বাড়বে।

ব্যাংকিং খাতের প্রেক্ষাপট

বর্তমানে দেশে ৬১টি ব্যাংক, ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, পেমেন্ট গেটওয়ে ও ডিজিটাল ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গ্রাহকের লেনদেনের আলাদা তথ্য সংরক্ষিত থাকে। অনুমোদিত ব্যুরোগুলো এই তথ্য ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে সংগ্রহ করতে পারবে।

তবে কোনো ব্যুরো গ্রাহকের ব্যাংকে থাকা আমানতের তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ করতে পারবে না।

পরিচালনা ও নিয়োগসংক্রান্ত শর্ত

প্রতি ব্যুরোতে সর্বোচ্চ ১১ জন পরিচালক থাকতে পারবে।

কমপক্ষে দুইজন পরিচালকের ১০ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

প্রযুক্তি ও ব্যবসা সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও আবশ্যক।

একই ব্যক্তি একাধিক ব্যুরোর পরিচালক হতে পারবে না।

সিইও, সিটিও, ডেটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও চিফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি অফিসারের প্রত্যেকের ফিনটেক, ইলেকট্রনিক মানি বা ব্যাংকিং খাতে কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কেএইচ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে