ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

শিশির মনিরকে নিয়ে যা বললেন হাসনাত

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১১:২১:২৩
শিশির মনিরকে নিয়ে যা বললেন হাসনাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত স্থগিত করেছেন। এর ফলে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো বাধা নেই।

এই প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে এক পোস্টে অ্যাডভোকেট শিশির মনির-কে "নায়ক" আখ্যা দিয়ে বলেন, “আজকের হাইকোর্টের রায় উল্টানোর নায়ক শিশির মনির। বিকেলের ঘটনাটা একদম টার্নিং পয়েন্ট।”

তিনি লেখেন, “হাইকোর্ট ডাকসু স্থগিত করলেই যদি সেদিন আপিল না হতো— ২ দিনের মধ্যে সিরিয়াল পাওয়া যেত না। এরপর কোর্ট ১৫ দিনের ছুটিতে যেত। আর ডাকসুর ডেট ছিল মাত্র ৮ দিন পর। মানে—গেম ওভার! কিন্তু সেই ক্রুশিয়াল মোমেন্টে শিশির মনির হাতে লিখে, দৌড়ে গিয়ে চেম্বার কোর্টে পিটিশন দিলেন। যুক্তি দেখিয়ে স্থগিতাদেশকে উল্টে দিলেন। ফলাফল? ডাকসু নির্বাচন বেঁচে গেল ষড়যন্ত্রের হাত থেকে।”

শিশির মনিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি লেখেন, “Thanks to শিশির মনির— তাঁর তড়িৎ সিদ্ধান্ত আর বুদ্ধিমত্তার জন্যই ডাকসু থেমে যায়নি।”

হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের অবস্থান ও কিছু নেতার বক্তব্যকে সমালোচনা করে বলেন, “শোন হে কবি মি/থ্যান্দ্র/নাথ! তোমার জন্মের আগেই শিশির মনির ঢাবির ছাত্র ছিল। এখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তাঁকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিতেই পারে— তাতে কারও মাথাব্যথা থাকার কথা নয়।”

তিনি আরও লেখেন, “শিশির মনির তো সেই কাজটাই করেছেন যেটার জন্য তোমরা মিছিল করো— ডাকসু হোক, সময়মতো হোক। তাহলে তোমরা খেপছো কেন? ঘাপলাটা নিশ্চয় অন্য কোথাও!”

এর আগে ডাকসুর ছাত্রদল ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম আবিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে আইনজীবী নিযুক্ত করেছে, সে হচ্ছে শিশির মনির। হে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, স্পষ্ট ভাষায় বলছি— আজকে থাকার কথা ছিল কবরে, কিন্তু আছি এখানে। আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সেই প্রশাসনে বসেছে। তাকে কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বসানো হয়নি।”

এ বক্তব্যের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। কেউ শিশির মনিরের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন, কেউ বা ছাত্রদল প্রার্থীর বক্তব্যকে সমর্থন করছেন।

পোস্টের শেষদিকে হাসনাত আরও বলেন, “যে আইনজীবী সময়মতো চেম্বার কোর্টে গিয়ে স্থগিতাদেশ বাতিল করে নির্বাচন নিশ্চিত করলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দাঁত কেলানো মানে নিজের অর্বাচীনতা প্রমাণ করা। শিশির মনিরের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে নির্বাচনের বিরুদ্ধেই দাঁড়ানো।”

তিনি অতীত প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আপনাদের নেতা তারেক রহমান, বাবরসহ অনেকেই শিশির মনিরের ক্লায়েন্ট ছিলেন। তখন তো কোনো সমস্যা ছিল না। এখন হঠাৎ এত জ্বালা কেন?”

পোস্টের শেষ বাক্যে হাসনাত লেখেন, “বিনা কারণে চিল্লাচিল্লি করলে নিজের মার্কেটই নষ্ট হয়। কবি ‘আবীন্দ্রনাথ’ ভেতরে ভেতরে জ্বলে পুড়ছেন, কারণ তাঁদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। স্থগিতাদেশ উঠতেই কবির মুখের হাসি গায়েব। লোডশেডিংয়ের মতোই নিখোঁজ!”

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে