ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

সাবেক আইজিপির জবানবন্দিতে বেরিয়ে এলো ব্যারিস্টার আরমানের অজানা সত্য

২০২৫ জুলাই ৩০ ১১:৫০:২৫
সাবেক আইজিপির জবানবন্দিতে বেরিয়ে এলো ব্যারিস্টার আরমানের অজানা সত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যারিস্টার আরমানকে গুম ও টিএফআই সেলে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে আটকে রাখার বিষয়ে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলায় চলতি বছরের ২৪ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দেওয়া ৫ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে আসে।

সাবেক আইজিপি তার জবানবন্দিতে জানান, ব্যারিস্টার আরমানকে গুম ও গোপনে আটকে রাখার পেছনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছিল। এসব কাজের নির্দেশনা দিতেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক সিদ্দিকি।

তিনি বলেন, "ব্যারিস্টার আরমান টিএফআই সেলে বন্দি ছিলেন, বিষয়টি আমি জানতাম। তবে তাকে আমার সময় গুম করা হয়নি। তিনি অনেক আগে থেকেই সেখানে ছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণের সময় আমার পূর্বসূরি বেনজির আহমেদ আমাকে বিষয়টি অবহিত করেন।"

মামুন আরও জানান, র‌্যাবের বিভিন্ন অভিযান ও গুম-সংক্রান্ত কার্যক্রমে আইজিপিকে অবহিত করা হতো না। অনেক নির্দেশনা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর অথবা সামরিক উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আসতো। তার ভাষ্য, "পুলিশপ্রধান হয়েও এসব বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, এমনকি র‌্যাবের কর্মকাণ্ডের অনেক কিছুই আমার অগোচরে পরিচালিত হতো।"

সাবেক আইজিপির ভাষ্যমতে, টিএফআই সেলে কী পরিমাণ বন্দি রাখা হতো, কে কবে সেখানে এসেছে—এসব তথ্যও তাকে জানানো হতো না। তিনি বলেন, “আমি পরবর্তীতে এ বিষয়ে তারিক সিদ্দিকির সঙ্গে কথা বললেও তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।”

এছাড়া তিনি স্বীকার করেন, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তা, বিশেষ করে আলেপ উদ্দিন, গুম ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে কুখ্যাত ছিলেন এবং মিলিটারি অফিসারদের মাধ্যমেই এসব অভিযান পরিচালিত হতো।

জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি বলেন, “আমি টিএফআই সেলে বিনা বিচারে বন্দিদের আটকে রাখা, নির্যাতন ও কিছু ক্ষেত্রে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার ঘটনা জানতাম, কিন্তু তদন্ত করিনি বা ব্যবস্থা নিইনি, কারণ এসব সিদ্ধান্ত অন্য বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হতো।”

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে