ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

ব্যক্তিগত আক্রমণে গড়ালো সালাহউদ্দিন ও চরমোনাই পীরের সর্ম্পক

২০২৫ জুলাই ০৮ ১২:২৬:২৯
ব্যক্তিগত আক্রমণে গড়ালো সালাহউদ্দিন ও চরমোনাই পীরের সর্ম্পক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাম্প্রতিক রাজনীতিতে তীব্র বাকযুদ্ধের সূচনা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের মধ্যে। রাজনৈতিক বক্তব্যে শুরু হলেও এই বাকযুদ্ধ এখন অনেকটাই ব্যক্তিগত পর্যায়ে গড়িয়েছে।

গত ৫ জুলাই, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপির আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন,“সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছু দল সমাবেশ করেছে যারা নির্বাচন চায়, কিন্তু তারা একসময় আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে। আজ তারাই বড় বড় কথা বলছে, সংস্কার কমিশনে গিয়ে নিজেরাই সুবিধা নিচ্ছে।”

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ৬ জুলাই রাজশাহীতে এক মতবিনিময় সভায় ফয়জুল করিম তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন,“২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বিএনপির সময়ে শুধু দেখেছি খাম্বা কেলেঙ্কারি। এখন নয় মাসে ১৫০টা খুন হয়েছে। বিএনপি চাঁদাবাজিতে পুরো দেশ ছেয়ে ফেলেছে।”

তিনি আরও বলেন,“বিএনপির আমলে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে চাঁদা তোলা হয় না। পত্রিকায় যা প্রকাশ পায়, তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি হচ্ছে। এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি কে দখল করেছে, গাড়ি কার কাছে গেছে— খোঁজ নিলেই বিএনপির নাম উঠে আসে।”

বিএনপিকে ভোট দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফয়জুল করিম। তিনি বলেন,“১৯৯১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি কেন ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেনি? কারণ মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আজও বিএনপি জুলুম-অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করছে।”

তার বক্তব্যে আরও উঠে আসে এক স্পর্শকাতর অভিযোগ। তিনি বলেন,“বিএনপিকে মানুষ কেন ভোট দেবে? ভোলায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও বিএনপির নাম এসেছে। এই ধরনের দলকে মানুষ কিভাবে সমর্থন করবে?”

এদিকে, সালাহউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে সরাসরি ইসলামী আন্দোলনকে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করায় ফয়জুল করিম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিএনপির অতীত কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতি তুলে ধরেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের বক্তব্য রাজনীতিতে সৌজন্যবোধের অভাবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। বিরোধীদের সমালোচনার জায়গা থাকলেও, তা যেন ব্যক্তিগত আক্রমণে রূপ না নেয়—এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে