ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
Sharenews24

আস্থার বার্তা নিয়ে আইসিএবি: নিরীক্ষা পেশার উৎকর্ষ সাধনে অঙ্গীকার

২০২৫ জুন ১৯ ১৯:১৩:৫৯
আস্থার বার্তা নিয়ে আইসিএবি: নিরীক্ষা পেশার উৎকর্ষ সাধনে অঙ্গীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) বিধিবদ্ধ নিরীক্ষার জন্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের (সিএ) ওপর আস্থা রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। নিরীক্ষা সংস্থাগুলোর সংস্কারের দাবির মধ্যেও বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিএবির সভাপতি মারিয়া হাওলাদার এফসিএ এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নিরীক্ষা কার্যক্রমের জন্য আইসিএবি একমাত্র প্রতিষ্ঠান যার বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ স্বীকৃতি রয়েছে।

মারিয়া হাওলাদার উল্লেখ করেন, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আইসিএবি বাংলাদেশে অ্যাকাউন্টিং ও নিরীক্ষা পেশায় সর্বোচ্চ মান বজায় রেখেছে। তাদের পাঠ্যক্রম এবং পরীক্ষা পদ্ধতি মর্যাদাপূর্ণ ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস (আইসিএইডাব্লিউ) এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড নিউজিল্যান্ড (সিএ এএনজেড) এর সমতুল্য হিসাবে স্বীকৃত, যা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী সিএদের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইসিএবির নেতারা বলেন যে, সিএরা অর্থপাচারের সাথে জড়িত নন এবং ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ (এনপিএল) অতীতের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে না থাকার কারণ হলো রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অডিট নীতির ত্রুটি।

তারা স্বীকার করেন, যখন একটি সরকার ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ (এনপিএল) সম্পর্কে প্রশ্ন না করার নির্দেশনা দেয় এবং আদালতও একই নির্দেশ দেয়, তখন সিএরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

আইসিএবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, বাংলাদেশে একমাত্র আইসিএবিই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইএফএসি)-এর মানদণ্ড অনুসরণ করে। এই মানদণ্ড একজন শিক্ষার্থীকে বিশ্বমানের অডিটর হওয়ার যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করে। ফলে আইসিএবির সদস্যরা সর্বাধুনিক শিক্ষা ও পেশাগত চর্চায় দক্ষ, এবং উচ্চমানের নিরীক্ষা সেবা দিতে সক্ষম।

সংগঠনটি আরও জানায়, আইসিএবির কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স বোর্ড ও ডিপার্টমেন্ট নিয়মিতভাবে নিরীক্ষার গুণগত মান পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করে থাকে। পেশাগত অনিয়ম হলে, তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আছে স্বাধীন ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি। এসব ব্যবস্থার কারণে আইসিএবির নিরীক্ষা চর্চা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি এ-ও জানায়, কোম্পানি আইনের ২২০ ধারা অনুযায়ী কস্ট অডিটের সুযোগ থাকলেও আইসিএমএবি সদস্যদের মাধ্যমে এ অডিট কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। তবে ভবিষ্যতে কস্ট অডিট শক্তিশালী করতে আইসিএবি, আইসিএমএবিকে সব ধরনের পেশাগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

পরিশেষে আইসিএবি স্পষ্টভাবে জানায়, ‘আমরা অপপ্রচার নয়, গঠনমূলক সমাধান চাই। দেশের অডিট পেশার গুণগত মান রক্ষা এবং জাতীয় স্বার্থে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চলুন, পেশাকে রাজনীতিমুক্ত রাখি, এবং অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে একসঙ্গে কাজ করি।’

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে