ঢাকা, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
Sharenews24

আইএমএফের ১৩০ কোটি ডলার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

২০২৫ জুন ১৫ ০৬:৫৪:৫৮
আইএমএফের ১৩০ কোটি ডলার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের ২৩ জুনের সভায় বাংলাদেশের জন্য চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি অনুমোদনের প্রস্তাব উঠছে। আইএমএফ শুক্রবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কার্যসূচিতে এই বৈঠকের সময়সূচি অন্তর্ভুক্ত করেছে। সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে বাংলাদেশ একসঙ্গে দুই কিস্তির প্রায় ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আলোচ্য সভায় বাংলাদেশ কার্যক্রম পর্যালোচনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। তা অনুমোদিত হলে ঋণের দুটি কিস্তিই একসঙ্গে ছাড় দেওয়া হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির অনুমোদন দেয়, যার মেয়াদ সাড়ে তিন বছর।

এই ঋণের লক্ষ্য ছিল সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে টাকার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট ও চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ আইএমএফের সহায়তা চায়।

মোট ঋণের মধ্যে ৩৩০ কোটি ডলার বর্ধিত ঋণসহায়তা (ECF ও EFF) এবং ১৪০ কোটি ডলার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (RSF) থেকে আসছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে RSF থেকে ঋণ পাচ্ছে।

বাংলাদেশ তিন কিস্তিতে এ পর্যন্ত মোট ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। এরমধ্যে প্রথম কিস্তি আসে ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি (৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার), দ্বিতীয় কিস্তি একই বছরের ডিসেম্বরে (৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার) এবং তৃতীয় কিস্তি ২০২৪ সালের জুনে (১১৫ কোটি ডলার)। বাকি রয়েছে দুই কিস্তি বাবদ ২৩৯ কোটি ডলার।

প্রথমে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ডিসেম্বর ২০২৩-এ পাওয়ার কথা থাকলেও, আইএমএফের নির্ধারিত শর্ত, বিশেষ করে বিনিময় হার বাজারচালিত না হওয়ায় তা আটকে যায়। পরে সিদ্ধান্ত হয় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড় হবে। এপ্রিলে আইএমএফ প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে এবং পরে ওয়াশিংটনের বসন্তকালীন বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে অগ্রগতি হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক মে মাসে আইএমএফের সঙ্গে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক করে এবং ১২ মে দুই পক্ষের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতা হয়। এরপর বাংলাদেশ বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করে, যা ছিল আইএমএফের অন্যতম প্রধান শর্ত।

গত মাসের ১৪ মে ওয়াশিংটন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানায়, সমঝোতা হয়েছে এবং পর্ষদ সভায় অনুমোদন পেলে ঋণের অর্থ জুনেই ছাড় করা হবে। একই বিবৃতিতে আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশ ৭৬ কোটি ডলার বাড়তি ঋণের আবেদন করেছে, যা অনুমোদিত হলে মোট ঋণের পরিমাণ ৫৪০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আদায়, ব্যাংক খাত সংস্কার এবং বিনিময় হার সংস্কারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে