ঢাকা, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
Sharenews24

একদিনের ফকির তারা!

২০২৫ জুন ০৭ ১৯:৫৯:০৯
একদিনের ফকির তারা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ সমাজে প্রতিষ্ঠিত কয়েক যুবক একদিনের জন্য ফকির সেজে বাড়িবাড়ি ঘুরে কোরবানির গোশত তোলেন। তবে এ গোশত তোলা নিজেদের জন্য নয়, এলাকার এতিম মেয়েদের বিয়ের জন্যই সংরক্ষণ করে রাখেন তারা। ‘সুখপাখি ফুডব্যাংক’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠনের সদস্যরা সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মহল্লায় একদিনের ফকির সাজেন।

শনিবার (৭ জুন) শহরের হোসেনপুর মহল্লার বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোশত তুলছিলেন সুখপাখির সদস্যরা। গ্রামের লোকজন উৎসাহের সঙ্গেই তাদের হাতে মাংস তুলে দেন। আবার কোথাও কোথাও গিয়ে ফিরেও আসতে হয় সংগঠনের সদস্যদের।

সংগৃহীত গোশত সমাজের এতিম অসহায় ও দরিদ্র মেয়েদের বিয়েতে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সংরক্ষণ করা হয়। কোনো দুঃস্থ এতিম মেয়ের বিয়েতে ৫ কেজি গোশতের সঙ্গে আলুর জন্য জাকাত ফান্ড থেকে নগদ অর্থও সহায়তা দেওয়া হয়। ৫ বছর ধরে সংগঠনটি এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও যে কোনো দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ মানবসেবামূলক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে সংগঠনটি।

হোসেনপুর গ্রামের মইনুল ইসলাম রাষ্ট্র বলেন, প্রতি বছরই সুখ পাখির সদস্যরা গোশতের জন্য আমাদের কাছে আসে। আমরা তাদের গোশত দেই। কারণ তারা একটি ভালো কাজ করছে।

ফরিদুল নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, সুখপাখি সমাজের উন্নয়নে মহৎ কাজ করছে। আমরা উৎসাহের সঙ্গে তাদের গোশত দিয়ে মহৎ কাজের অংশীদার হচ্ছি। আমরা চাই তাদের এই কাজটি তারা চালিয়ে যাক।

সুখ পাখির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শেখ রজব বলেন, আমরা সুখপাখির পক্ষ থেকে বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় কোরবানির ঈদের দিন আমরা একদিনের ফকির সেজে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোশত সংগ্রহ করি। এসব গোশত আমাদের ফুড ব্যাংকের ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখি।

তিনি আরও বলেন, ঈদ পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে এতিম মেয়ের বিয়েতে সহযোগিতার জন্য আবেদন আসে। তখন আমরা সেখান থেকে ওই গোশত তাদের দেই। আলোর জন্য জাকাত ফান্ড থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা দেই। ২০২০ সাল থেকে আমরা এসব কাজ করে আসছি। এলাকার সবাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তবে কোথাও কোথাও গোশতের জন্য গেলে তারা পরে আসতে বলেন। তখন একটু খারাপই লাগে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে