ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
Sharenews24

তাজউদ্দীন কলেজের নাম পরিবর্তন নিয়ে সোহেল তাজের স্ট্যাটাস

২০২৫ মে ২৯ ১৫:২৩:১৭
তাজউদ্দীন কলেজের নাম পরিবর্তন নিয়ে সোহেল তাজের স্ট্যাটাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘সরকারি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার দেশের আরও ৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ ঘটনায় তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

সোহেল তাজ লেখেন, কলেজটি সরকারি হওয়ার অনেক আগেই এটি ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজ’ নামেই পরিচিত ছিল। এর পুরনো নাম ছিল ‘ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজ হাইলজোর’। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মাত্র ৯ মাসের মাথায় এই নাম পরিবর্তনকে তিনি “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” হিসেবে আখ্যা দেন।

একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন,“মুছে যাক আমার নাম, তবু বেঁচে থাকুক বাংলাদেশ”—তাজউদ্দীনের এই উক্তি আজ মনে পড়ে। প্রশ্ন জাগে—এই নাম বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্য কী? এর ফলে জাতি বা শিক্ষার্থী কী লাভবান হবে?

সোহেল তাজ আরও উল্লেখ করেন, কলেজটি তাজউদ্দীন আহমদের নিজ ইউনিয়নে অবস্থিত। তাই তাঁর নামে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম মুছে দেওয়া স্থানীয়দের মধ্যে গভীর বেদনা ও অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। কাপাসিয়া সদরে ইতিমধ্যে একটি ‘কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ’ রয়েছে, যা এখনো সরকারি হয়নি। ফলে একই নামে দুটি কলেজ থাকলে তা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন।

তিনি আরও বলেন,“কাপাসিয়ায় বিগত ৫৪ বছরে তাজউদ্দীনের নাম নিয়ে কোনো অপরাজনীতি হয়নি। কিন্তু এখন এই নাম মুছে ফেলার পেছনে কী উদ্দেশ্য—এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তাজউদ্দীন আহমদের ভাস্কর্যে স্থানীয় ছাত্র-জনতা ফুলের মালা দিয়ে ভালোবাসা জানায়—এই ঘটনাটি স্মরণ করে সোহেল তাজ বলেন,“মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এখনো তাজউদ্দীনের প্রতি অটুট। এই অবস্থায় নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত জনমনে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।”

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে