নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বাজার শুরুর পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশা জাগানিয়া প্রবণতা ছিল। কারণ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলোর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক নির্ধারিত ছিল আজ। গত দুই কর্মদিবসেও বৈঠকটি ঘিরে বাজারে কিছুটা ইতিবাচকতা ধারা দেখা গিয়েছিল। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছিল ১৯ পয়েন্ট, আর বুধবার বেড়েছিল আরও ৬ পয়েন্ট।

কিন্তু বৈঠকের দিন বৃহস্পতিবার বাজারের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। লেনদেনের শুরুতে উত্থানের ঝলক দেখা গেলেও মধ্যভাগ থেকে বড় মূলধনী কয়েকটি মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারদর পতন শুরু হয় এবং তা দিনভর চলতে থাকে। শেষ বেলায় উত্থানের বাজার পতনের বৃত্তে টার্ন নেয়।

লংকাবাংলা অ্যানালাইসিস পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, আজ ডিএসইতে ২০০ প্রতিষ্ঠানের পতন হয়েছে। বিশেষ করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও ম্যারিকো বাংলাদেশ—এই সাতটি কোম্পানি ডিএসইর সূচক পতনের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ২০ পয়েন্টের বেশি। আর আলোচ্য সাত কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে প্রায় ২০ পয়েন্ট। এরমধ্যে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন ও ব্র্যাক ব্যাংক সূচক কমিয়েছে ১০ পয়েন্টের বেশি।

এই পরিস্থিতি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তাকেও সামনে নিয়ে আসে। ব্যাংক, বীমা এবং মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকায় বাজারের ভারসাম্য রক্ষা করা যাচ্ছে না। তারল্য সংকটের প্রেক্ষাপটে তারা বড় কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করে অপেক্ষা করার নীতি গ্রহণ করেছে।

মিজান/