ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ

২০২৫ এপ্রিল ১৯ ১৯:২১:৫০
গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন সম্প্রতি ৪৩৩টি সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে, যা নারী এবং শ্রমিকদের অধিকারের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই সুপারিশগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো গৃহকর্মী এবং যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। বর্তমানে অনেক গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীকে সমাজে নিম্নমানের শ্রমিক হিসেবে দেখা হয়, কিন্তু কমিশনের এই প্রস্তাবের মাধ্যমে তাদের কাজকে একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যা তাদের মানবাধিকার এবং শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করবে।

এছাড়া নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ৪৩৩টি সুপারিশের মধ্যে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছে, যেমন সব খাতে ৬ মাস বা ২৪ সপ্তাহ পূর্ণ বেতনে প্রসূতি, প্রসব এবং দত্তকজনিত ছুটি নিশ্চিত করা, যাতে নারীদের কর্মক্ষেত্রে আরও সুরক্ষা এবং সমতা নিশ্চিত হয়। নারী শ্রমিকদের জন্য পিতৃত্বজনিত ছুটি এবং গর্ভধারণ থেকে প্রসবোত্তর ছুটিতে থাকাকালীন চাকরিচ্যুতি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও রয়েছে। এইসব উদ্যোগের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থানে আরও সমতা এবং সুযোগ তৈরি হবে।

কমিশনের প্রতিবেদনটি আরও বলেছে শ্রম আইনে "প্রসূতি কল্যাণ" পরিবর্তন করে "প্রসূতি অধিকার" লেখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে নারীর প্রজনন অধিকারকে আরো শক্তিশালী করা যায়। এছাড়া, নারী শ্রমিকদের নিরাপদ অভিবাসনের জন্য কিছু সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে তারা আন্তর্জাতিক শ্রম ও অভিবাসন আইনের সুবিধা পেতে পারে এবং তাদের কর্মপরিবেশ উন্নত হয়।

কমিশন প্রতিবেদনটির লক্ষ্য হলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা এবং পরবর্তী সরকারের জন্য আরও কিছু সুপারিশ রাখা, যা নারীদের সুরক্ষা এবং তাদের উন্নতির জন্য কার্যকরী হতে পারে। প্রতিবেদনটি নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অবস্থান উন্নত করার জন্য একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে, যেখানে সব বয়সী নারীদের জন্য সুস্বাস্থ্য, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষা, এবং প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "নারীর স্বাধীনতা" এবং তাদের বাস্তব মুক্তির জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যা সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের আরও শক্তিশালী ভূমিকা নিশ্চিত করবে।

এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে নারী অধিকারের উন্নতি এবং তাদের অবস্থানের পরিবর্তনে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে