ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

ইউনূস সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবিতে আমরণ অনশন

২০২৫ এপ্রিল ১৮ ১৯:২৩:১৭
ইউনূস সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবিতে আমরণ অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশে কার্যত তিন দিন সরকারশূন্য ছিল। এরপর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূস এবং ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন শপথ নেন। পরে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু হয় এবং বিভিন্ন ইস্যু সামনে আসে।

সম্প্রতি ড. ইউনূস সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর বৃদ্ধির দাবি উঠেছে। এই দাবির পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে একদল যুবককে “মার্চ ফর ইউনূস স্যার” ব্যানারে আমরণ অনশন করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে তারা ড. ইউনূস সরকারের মেয়াদ ৫ বছর করার জন্য রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশন শুরু করেছেন। তারা জানান, প্রয়োজন হলে তারা চূড়ান্তভাবে আমরণ অনশন করবেন। তাদের মাথার উপরে একটি ব্যানার ঝুলছিল, যার শিরোনামে লেখা ছিল "আগে সংস্কার পরে নির্বাচন; আগে জনতা পরে ক্ষমতা"। ব্যানারের নিচে লেখা ছিল, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নূন্যতম ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক অবস্থান পরে চূড়ান্ত আমরণ অনশন।”

এছাড়া সেখানে তাদের পাঁচটি দাবি ছিল, সেগুলি হলো:

১. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারীদের বিচার শেষ করতে হবে।

২. নূন্যতম আগামী পাঁচ বছর রাষ্ট্র সংস্কার চলবে, তারপর নির্বাচন হবে।

৩. আগে স্থানীয় সরকার পরে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

৪. প্রশাসনের মধ্যে যেখানে ফ্যাসিসদের দোসর রয়েছে, তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে এবং যোগ্য লোক বসাতে হবে।

৫. নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম স্নাতক হতে হবে।

অনশনে অংশগ্রহণকারী এক যুবক বলেন, “আমরা ড. ইউনূস স্যারকে আগামী পাঁচ বছর চাই। কারণ তার পাঁচ বছরের মধ্যে রাষ্ট্রের সব সংস্কার শেষ হোক। উনি ছাড়া সংস্কার সম্ভব না। আমাদের যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, তারা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অনেক তাজা প্রাণ হারিয়েছি। এসবের বিচার ড. ইউনূস ছাড়া সম্ভব না।”

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আরেক যুবক বলেন, “যারা নির্বাচনে অংশ নেন, তাদের অধিকাংশ নিজের নাম লিখতে পারেন না। তারা ক্ষমতার জুড়ে এমপি হয়ে যান। শিক্ষিত নির্বাচিত প্রতিনিধি দেশ ও জাতির উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে পারবেন।”

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম গত ২৯ মার্চ নিজের ফেসবুকে লিখেছিলেন, "প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন স্টেটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার আজীবন থাকবে।" সারজিসের এই পোস্টের নিচে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩৭ হাজারের বেশি কমেন্ট এসেছে। সেখানে অনেকেই সারজিসের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন, তবে অনেকেই তীব্র বিরোধিতাও করেছেন। কিছু মন্তব্যকারী বলেন, "মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন নোবেলজয়ী বাংলাদেশীকে বাংলাদেশের উন্নয়নে যেভাবে কাজে লাগানো যেত, অতীতের সরকার সেটি না করে বরং তাকে অব্যাহতভাবে নাজেহাল করেছে। অপমান করেছে।"

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে