ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

জাতিসংঘ: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) বিলুপ্ত করুন

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১২:০৯:৪০
জাতিসংঘ: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) বিলুপ্ত করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, “র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) বিলুপ্ত করুন এবং গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নয় এমন কর্মীদের স্ব স্ব ইউনিটে ফিরিয়ে দিন।”

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে র‌্যাবকে বিলুপ্তির পাশাপাশি বিজিবিকে সীমান্তরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তর (ডিজিএফআই) কে শুধুমাত্র সামরিক গোয়েন্দা কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়াও, আনসার-ভিডিপির উপর “সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রোধ” করে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সহায়ক হিসেবে কাজ করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

ওএইচসিএইচআর বলছে, প্রতিবেদনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে তারা প্রস্তুত।

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনের অনুসন্ধানী দল অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সেপ্টেম্বর মাসে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালায়।

প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারীদের কিছু অংশ সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, যাদের বেশিরভাগ সরকারি ভবন, পরিবহন অবকাঠামো এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করে।

১৯ জুলাই থেকে বিক্ষোভ শেষ হওয়া পর্যন্ত, বিজিবি, র‌্যাব এবং পুলিশ ঢাকা এবং অন্যত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর “নির্বিচারে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার” করেছে—এমন তথ্য উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। এর ফলে প্রতিবাদ কভার করতে আসা সাংবাদিকসহ অনেকেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে আহত হন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের কার্যালয় প্রতিবেদনে জানায়, “ডিরেক্টরেট জেনারেল অব আর্মড ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এবং পুলিশের বিশেষ শাখা – গোয়েন্দা শাখা ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিটিসি) প্রতিবাদকারীদের দমনের নামে সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল।”

কেএইচ

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে