ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

জিয়াউল আহসানের নির্দেশে সুমনকে ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১০:৫৫:১০
জিয়াউল আহসানের নির্দেশে সুমনকে ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমন নিখোঁজ হন। তাকে গুম করা হয়েছিল, এবং পরে জানা যায় যে তাকে ‘আয়নাঘর’-এ আটকে রাখা হয়েছিল এবং হত্যা করা হয়েছিল। এই বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

ফারুকী তার ফেসবুক পোস্টে জানান, "এ রকমই কোনো একটা ঘরে হয়তো আমার বাল্যবন্ধু সাজেদুল ইসলাম সুমনকে আটকে রাখা হয়েছিল।" তিনি আরও বলেন, "এ রকম কোনো ঘরে অজানা আশঙ্কায় সে কেঁপে কেঁপে উঠতেছিল।" ফারুকী তার বন্ধু সুমনের গুমের শিকার হওয়ার স্মৃতিচারণা করে আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন যে সুমন নিশ্চয়ই ওই ঘরে বসে আল্লাহর কাছে প্রাণভিক্ষা চাইছিলেন, তার সন্তানের জন্য, মায়ের জন্য জীবন ফেরত চাইছিলেন।

ফারুকী স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আরও বলেন, "এ রকম একেকটা ঘরে আমরা সতেরো কোটি মানুষ আটকা ছিলাম ষোলো বছর।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমরা গোপনে বলতাম, আল্লাহ এই ডাইনির হাত থেকে আমাদের বাঁচাইয়া দাও।"

তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেন, "সুমনের সঙ্গে আমার শেষ কথা ছিল উত্তরার এক হাসপাতালে লুকিয়ে থাকা অবস্থায়।" সেখানে সুমনের শেষ কথাগুলো ছিল, “দোস্ত, আবরাররে তুই ইজি কইরা নিস। নাইলে অ্যাকটিং খারাপ করব।”

ফারুকী জানান, "জিয়াউল আহসানের নির্দেশে সুমনকে ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয় এবং শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেয়া হয়।" তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, "যে বাবার ঘরে ফিরে সন্তানের সঙ্গে ভাত খাওয়ার কথা ছিল, তাকে এই ডাইনির দল শীতলক্ষ্যার মাছেদের খাবারে পরিণত করে।"

ফারুকী তার পোস্টের শেষে আরও লেখেন, "এই হায়েনাদের হয়ে যখন কেউ কথা বলতে আসে, আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়। আমি আমার কমপোজার লুজ করি।"

এটি ছিল একটি আবেগঘন ও তীব্র প্রতিবাদ, যা ফারুকী তার বন্ধু সুমনের গুম এবং হত্যার বিরুদ্ধে ব্যক্ত করেছেন।

সামান্তা/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে