নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ড. কনক সরওয়ার আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘জয় বাংলা’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আলোচনা ফাঁস করে দিয়েছেন।

বুধবার (০৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সেই গ্রুপের একটি স্ক্রিনশট তিনি ফাঁস করে দেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ড. কনক সরওয়ার তার ফেসবুকে লেখেন, ‘পিও’রা আবার নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখছে! হাসিনা এবং তার পরিবার মুক্ত দল চান খোদ আওয়ামী লীগের নেতারা??!! বাহাউদ্দিন নাসিম, ইসমাইল হোসেন সম্রাট, সাঈদ খোকন, সাইফুজ্জামান শেখরের WhatsApp গ্রুপের চ্যাটিং এ বিষয়টি উঠে এসেছে…নাটক কম করো পিও!’

এরপর ওই স্ট্যাটাসে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। মাহবুব মাহবুব নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী স্ট্যাটাসের মন্তব্যে লেখেন, ‘কিছুই বলতে চাই না, কিছু বলার মত ভাষা হাড়িয়ে ফেলেছি বিগত সৈরাচার সরকারের সময়। ছোটবেলায় মুরুব্বিদের মুখে শুনেছি, পাপ নাকি বাপ কেও ছাড়ে না। ছোট ছোট পাপ থেকে নাকি বড় পাপের জন্ম হয়। আর সেই পাপে পুরো পরিবার কিম্বা পুরো জাতি কিম্বা পুরো একটা দেশ ধংস করে দেয়। তদ্রূপ, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সহ গোটা আওয়ামী পরিবার যেই পরিমাণ পাপ করেছে, তার ফল ৫ই আগস্ট থেকে পাইতে শুরু করেছে। তা থেকে রেহাই পাবেনা পাবেনা আওয়ামী পরিবারের একটা সদস্যও।’

মাহবুব মাহবুব নামের ব্যক্তি আরও লেখেন, ‘শাপলা চত্বরের ঘটনা থেকে শুরু করে জুলাই আগস্টের আন্দোলনে আবু সাইদ, মীর মুগ্ধ সহ শত শত ছাত্র জনতার উপরে গুলি করে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই রক্ত পিপাসু আওয়ামী পরিবারে এ নিয়ে একবারের জন্যও আফসোস করার মত কোন সদস্য ছিল না। দেশের সর্বোচ্চ গুনি আলেমদেরও ছাড়ে নাই হত্যা করেছে একের পর একেকজন গুনি ব্যাক্তিদের। ৫ই আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী পরিবারের পরিবারের পতননও পলায়ন, ৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ পতন ধানমন্ডি ৩২ আওয়ামী পরিবারের বর্তমান সময়ের সরযন্ত্র কেন্দ্র। আমরা গোটা দেশবাসী আশাবাদী ৫ই আগস্ট ২০২৫ এর আগেই হাসিনা সহ সকল পাপিষ্ঠের বিচার সম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’

মো. আল মামুন লিখেছেন, ‘বিপদ থেকে বাঁচতে এখন কেউ-ই হাসিনা কে চায় না। অথচ কুত্তায়ও হাসিনা ছাড়া এদের জিগাইত না। মানুষের দৃস্টি অন্য দিকে নেয়ার পায়তারা মাত্র।’

আফসানা নাজনীন নামের আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘এরা সবাই মীর জাফরের বংশধর। এদের বিন্দু পরিমাণ বিশ্বাস করা ভুল সিদ্ধান্ত আবারো মৃত্যু শামিল।’

মিজান/