ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর শোচনীয় অবস্থা: ৬০টির মধ্যে মাত্র ১২টি সচল

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৪ ১৫:২৭:৩৩
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর শোচনীয় অবস্থা: ৬০টির মধ্যে মাত্র ১২টি সচল

নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে সাংবাদিকদের জানান যে, দেশের ৬০টি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ১২টি ব্যাংক সক্রিয় রয়েছে। তিনি জানান, বাকিগুলোতে পরিচালকদের কারণে গ্রাহকদের সব টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং এখন সেই ব্যাংকগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে।এখানে সংবাদটির বিস্তারিত বাংলায় তুলে ধরা হলো:

- দেশে মোট ৬০টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে, এর মধ্যে বর্তমানে শুধু ১২টি ব্যাংকই সক্রিয় রয়েছে।

- বাকিগুলোর অবস্থা খারাপ, কারণ ব্যাংকগুলোর পরিচালকরা গ্রাহকদের টাকা নিয়ে চলে গেছেন। ফলে এই ব্যাংকগুলো কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং সেগুলোর পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা চলছে।

- অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন যে, আগামী জুন মাসের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে চলে আসবে। এর ফলে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমবে এবং জনসাধারণের উপর চাপ কিছুটা হ্রাস পাবে।

- বর্তমানে সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা এবং দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা।

- সরকার কিছু পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে, বিশেষ করে ফলমূলের উপর। তবে, অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে আসবে না। রাজস্ব বাড়ানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এটি খুব বেশি হবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

- রোজা সামনে রেখে, সরকার নিশ্চিত করছে যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যসমূহ যথাযথভাবে আমদানি এবং সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে চাল, ডাল, সার, এবং এলএনজি অন্তর্ভুক্ত।

- এর মাধ্যমে বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হবে এবং রোজায় দাম সহনীয় রাখা সম্ভব হবে।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার থেকেও খারাপ ছিল। তবে, সরকার কঠোর পরিশ্রম করে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়েছে এবং বর্তমানে অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে সংকট চলছে, যেখানে পরিচালকদের দুর্নীতির কারণে গ্রাহকরা তাদের টাকা হারিয়েছেন। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে রোজা মাসে বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।

কেএইচ

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে