ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

বিনিয়োগ ও ব্যবসায় আস্থার সংকটে বিনিয়োগকারীরা

২০২৫ জানুয়ারি ২৬ ২২:০০:৩১
বিনিয়োগ ও ব্যবসায় আস্থার সংকটে বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে দেশে আস্থা সংকটে রয়েছেন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। নীতির অভাব এবং অতিরিক্ত করের বোঝা ব্যবসার উন্নয়নের বড় বাধা বলছেন তারা।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব বাংলাদেশ (অ্যামচেম) এর আয়োজিত সভায় বিনিয়োগকারীরা এই শঙ্কার কথা তুলে ধরেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ ধ্বংশ করে দিয়েছে। তারা বলেন, দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এখনও কার্যকর কোনো সংস্কার হয়নি। যদিও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাণিজ্য খাতের বর্তমান সংকটের জন্য যথার্থভাবেই অর্থ পাচারকারীদের দায়ী করেছেন।

সভায় বিনিয়োগকারীরা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারও গত ৫ মাসে বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে তেমন প্রত্যাশিত কাজ করতে পারেনি। অ্যামচেমের সেমিনারে তারা অভিযোগ করেন, এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি সংস্থাগুলো এখনো হয়রানি মুক্ত নয়।

এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নাসিম মঞ্জুর বলেন, ভিয়েতনামসহ অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলো ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। তবে আমাদের সরকার রাজস্বের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এনবিআরের উচিত বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করা, যা কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে।

মেটলাইফ এলিকোর প্রধান নির্বাহী আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেকেই দেশের ব্যবসার ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন। কেউ কেউ নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনা বাতিল করে দিচ্ছেন এবং ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা কমাচ্ছেন। আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাবও বিশ্ব বাণিজ্যকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

সেমিনারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন জানান, বাজেট, মুদ্রানীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিতে বাণিজ্য সম্প্রসারণকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর এবং বিডার মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে এমন সংস্কার এখনও হয়নি। অর্থনীতি পুনর্গঠনে বাণিজ্যের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর পরিবর্তে সরকার বিদেশি ঋণের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।”

অর্থ উপদেষ্টা নীতির অভাবের কথা স্বীকার করেছেন, তবে তিনি বলেছেন যে বাণিজ্যের দুরাবস্থার জন্য অর্থলোপাট করে পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীরাই দায়ী। তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার সংকটের মধ্যে দায়িত্ব নিয়ে দ্রুত উন্নতি সাধন করছে। এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অনেক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আগামী বাজেটে ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এছাড়াও, এনবিআর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কাস্টমস পর্যায়ে অটোমেশনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, এবং ভ্যাট ও আয়কর আদায়ের দুর্বলতার কারণে করপোরেট খাতে রাজস্ব আহরণে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে