ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতি

২০২৫ জানুয়ারি ১৫ ১১:১৯:৪৮
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার সরকারের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের মুখে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যাতে দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, "আমরা জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং চুরি হওয়া অর্থ বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত আনতে বিশ্বজুড়ে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করব।"

এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থ চুরির ঘটনায় জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ এবং ন্যায়বিচারের দাবী উঠেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করে তদন্ত কার্যক্রম চালানো হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, "যদি প্রমাণিত হয় যে, টিউলিপ সিদ্দিকের মতো কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে বা অন্যভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তবে সেই সম্পদ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে, কারণ জনগণই তার প্রকৃত মালিক।"

এছাড়া, তিনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশ থেকে চুরি হওয়া তহবিল উদ্ধারের জন্য সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন। বিশেষত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দুর্নীতি তদন্তের মাধ্যমে দেশের সাবেক সরকারের দুর্নীতির মাত্রা চিহ্নিত করার কথা বলেন ইউনূস।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, "এই ধরনের সহযোগিতা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অপরাধের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে যে, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "দুর্নীতি কেবল সেই ব্যক্তিদের ক্ষতি করে যারা এতে জড়িত, বরং পুরো সমাজ ও জনগণের জন্য ক্ষতির কারণ হয়।"

তিনি উল্লেখ করেন যে, দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক ঘাটতির মধ্যে পড়েছে, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আবারও নিশ্চিত করেন, "বাংলাদেশ থেকে চুরি করা তহবিল তার জনগণের। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব।"

এদিকে, টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ এবং বাংলাদেশ সরকারের এ ধরনের বিবৃতি থেকে এটি পরিষ্কার যে, সরকার দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার চেষ্টা করছে।

এখন, পুরো পরিস্থিতি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে এবং তা সঠিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে দেশে ফেরানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে