ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

মূলধন ঘাটতি থাকলে ব্যাংকগুলো ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না

২০২৪ নভেম্বর ১২ ১৬:৪৫:৩৫
মূলধন ঘাটতি থাকলে ব্যাংকগুলো ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, মূলধন ঘাটতি থাকলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো ব্যাংক ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। কোনো ব্যাংক এই ধরনের কাজ করে থাকলে তা সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানাতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্প্রতি গভর্নর ড আহসান এইচ মুনসুরের সাথে ১৭ ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের একটি বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

হুসনে আরা শিখা বলেন, বৈঠকে যেসব ব্যাকের আমানত ভালো অবস্থানে রয়েছে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আরও বেশি পরিমাণে তারল্য সহায়তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন গভর্নর। ইতোমধ্যে যাদের তারল্য পর্যাপ্ততা কম রয়েছে তাদেরকে তারল্য সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি মেকানিজম করে দিয়েছে। সেই মেকানিজমের ওপরই অন্য ব্যাংকগুলোকে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এরআগে এক্সচেঞ্জ রেট এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না এটা নিয়ে গভর্নর জানতে চেয়েছিলেন। ব্যাংক এমডিরা জানান, এটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ না থাকলেও ‘ওভার ডিউ পেমেন্ট অব এলসির’ ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের এমডিদের সাথে বৈঠককালে জানিয়েছে যে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইন্টান্যাশনাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে কিছু ব্যাংক হয়তো আগেই পেমেন্ট করে দিচ্ছে কিন্তু সেই কনফার্মিং ব্যাংক যখন পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর তার পেমেন্টটা পূনর্ভরণ বা রিইনভেস্টমেন্ট চাচ্ছে তাখন সেটা তারা দেড়ি করে পাচ্ছে। এটাকে গভর্নর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। এবং তিনি বলেছেন যে সকল ব্যাংক ডিলে পেমেন্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে এক ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মুখপাত্র জানান, ব্যাংকগুলো জানিয়েছে, জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট আরও বেশি স্থিতিশীল হবে। যদিও এটা এখনও স্থিতিশীল আছে। এখানে যাতে কেউ ম্যানুপুলেশন না করে, তারা যাতে ডলার জমা করে রেখে পরবর্তিতে আবার বেশি দাম পাওয়ার আশায় বিক্রি না করে। কেউ কেউ আবার ডলার কিনে ইউরোতে ট্রান্সফার করছে, এই ধরনের কাজ করে কেউ যেন লাভবান হওয়ার চেষ্টা না করে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ব্যাংকগুলো বলেছে ক্রেডিট কার্ডের রেট অনেক কম এবং রেট বিভিন্ন কারণে বাড়ানো যাচ্ছে না। অথচ এই ক্রেডিট কার্ডের পেছনে বিভিন্ন খরচ হচ্ছে ব্যাংকের। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো ক্রেডিটকার্ডের ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল রেটের সাথে যৌক্তিক করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নাই।

এস/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে