ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

হঠাৎ অনিশ্চয়তার মুখে তসলিমা নাসরিন

২০২৪ সেপ্টেম্বর ০৮ ২২:৪১:২২
হঠাৎ অনিশ্চয়তার মুখে তসলিমা নাসরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন ভারতে অবস্থান করা নিয়ে হঠাৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।

আজ রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) সহযোগী গণমাধ্যম ‘আজতক বাংলা’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

আজতক বাংলার বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তসলিমা শুধু বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্থান নিয়েই উদ্বিগ্ন নন, ভারতে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তার মুখে তিনি।

তিনি দাবি করেছেন, ভারতে তাঁর বসবাসের অনুমতির মেয়াদ গত জুলাইয়ে শেষ হয়ে গেলেও দেশটির সরকার এখনো এটি নবায়ন করেনি।

আজতক বাংলার সম্পাদক কেশবানন্দ ধর দুবেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, ‘আমি ভারতে থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু প্রায় দেড় মাস হয়ে গেছে। এখনো আমার থাকার মেয়াদ বাড়ায়নি কেন্দ্রীয় সরকার।’

তসলিমা নাসরিন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন না।

নির্বাসিত এই লেখক বলেন, ‘আমি জানি না, কার সঙ্গে কথা বলব? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? আমি কারও সঙ্গে কথা বলি না। আমি অনলাইনে চেক করি। কিন্তু এখনো কোনো নিশ্চয়তা পাইনি। যা আগে কখনো ঘটেনি।’

তসলিমা নাসরিন ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর বেশ কয়েক বছর ইউরোপে বসবাস করেছিলেন। পরে ২০০৪ সালে তিনি ভারতে চলে আসেন। ভারতেও বেশ কয়েকবার অবস্থান বদলের পর ২০১১ সাল থেকে দিল্লিতে বসবাস করছেন।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্ত হয়েছে। ভারতে বসবাসের অনুমতি নবায়ন করার পথে এই পরিবর্তন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কি না জানতে চাইলে, তিনি তা অস্বীকার করেন।

ধর্মীয় মৌলবাদের স্পষ্টবাদী সমালোচক তসলিমা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সেখানকার রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি ইতিমধ্যে ভারতে বসবাস করছি। আমি এখানে একজন সুইডিশ নাগরিক হিসেবে থাকি। বাংলাদেশে বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতির আগেই আমার থাকার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। ২০১৭ সালেও এমন সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সেটি প্রযুক্তিগত সমস্যাই ছিল।’

তসলিমা নাসরিন এখন তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে আছেন। ভারতে বসবাসের অনুমতি নবায়ন হবে না, এমন আশঙ্কাও করছেন তসলিমা। তবে এই অনুমতি না পেলে তিনি বড় ধরনের হুমকির মধ্যে পড়বেন বলেও জানান। তসলিমা বলেন, ‘মানুষ মনে করে আমার সঙ্গে সরকার ও নেতাদের ঘনিষ্ঠতা আছে। তা কিন্তু নয়। পারমিট না পেলে আমি মারা যাব। এখন কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই।’

তসলিমা নাসরিন বরাবরই বলে আসছেন, বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভূমিকা রয়েছে।

সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তসলিমা বলেন, ‘দুজনই আমায় বাংলাদেশে থাকতে দেননি। ইসলামিক মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন।’

এএসএম/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে