ঢাকা, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

মালয়েশিয়ায় কী বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীদের দুয়ার?

২০২৪ মে ১৮ ১৫:২৭:৫২
মালয়েশিয়ায় কী বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীদের দুয়ার?

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া কী শেষ পর্যন্ত বন্ধ করছে মালয়েশিয়া? এমন আলোচনা আবারও ঘুরেফিরে আসছে। কারণ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও কুয়ালালামপুর সাড়া দেয়নি। যদিও প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, চলতি মাসের মধ্যেই সব কর্মী পাঠানো হবে।

এদিকে বিনা খরচে ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোসেল) দেশে মাত্র ১৩০০ কর্মী পাঠাতে পেরেছে। এই সংকট নিরসনে দূতাবাসের কার্যক্রমের পাশাপাশি একটি সেল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য বাড়তি অভিবাসন খরচ, বন্দিদশা, অনুযায়ী কাজ না পাওয়া যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, অভিবাসন সংস্থা।

এর মধ্যে কোটা পূরণের কথা বলে গত মাসে কলিং ভিসা বন্ধের ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়া। তারা বলেছে, ৩১ মের পর বাংলাদেশ থেকে তারা আর কোনো শ্রমিক নেবে না।

এর আগে ২০২০ সালে মালয়েশিয়ায় শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে ১০ হাজার কর্মী পাঠাতে চুক্তি হয়েছিল। তবে এই সময়ে মাত্র ১৩শ’ কর্মী পাঠাতে পেরেছে বোয়েসেল। এখন প্রশ্ন হলো, বিনা খরচে কর্মী পাঠানোর সুযোগ থাকলেও কেন কোটা পূরণ করতে পারেনি দেশের একমাত্র সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিটি।

বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক আনোয়ার বলেন, আমাদের তৃতীয় জয়েন অর্গেন গ্রুপের মিটিং আগামী জুন বা জুলাই মাসে হবে। বাকি যে ৮ হাজার ৫শ’ কোটা আছে এটি পূরণের জন্য এজেন্ডাভুক্ত করা হয়েছে। আশা করি আলোচনা করে এই কোটাটি অব্যাহত রাখা হবে।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত রাখতে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে কুয়ালালামপুর থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, আমাদের মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়া সরকারকে চিঠি দিয়েছে এবং আমাদের মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতও সময় বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন। ফলে দিন না বাড়লেও আমরা আমাদের জনবল পাঠাতে প্রস্তুত।

সংকট সমাধানে দূতাবাসের তৎপরতার পাশাপাশি সেল গঠনের পরামর্শ অভিবাসন বিশ্লেষকের। অন্যথায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে মালয়েশিয়ার নেতিবাচক মনোভাব আরও প্রসারিত হতে পারে।

ইমিগ্রেশন অ্যানালিস্ট ড. অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিষয়টি দেখা দরকার। প্রয়োজনে দুই দেশের উচিত সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নিয়ে আলোচনা করা। প্রয়োজনে একটি পৃথক কার্যালয় বা সমন্বয় সেল গঠন করতে হবে যেখানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থাকবে এবং তারা নিয়মিত তদারকি করবে।

শেয়ারনিউজ, ১৮ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে