ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশির মৃত্যু

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১৪ ১৪:১৩:৩৪
মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রবাস ডেস্ক : মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের দামানসারায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ১৩তলা থেকে পড়ে মো. শামীম খাঁ নামে এক বাংলাদেশির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেশটির মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে সহকর্মীরা তাকে চুঙ্গাই বুলুহ হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, ২০১৫ সালে সংসারের হাল ধরতে যশোর জেলার ঝিকরগাছার মধিখালী গ্রামের ফজলু খাঁর ছেলে শামীম মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে বর্তমানে বেশ ভালোই চলছিল, সংসারেও ফিরেছিল সচ্ছলতা।

মালয়েশিয়ায় থাকা শামীমের ফুফাতো ভাই মনির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, চলতি বছরেই দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল শামীমের। দুর্ঘটনায় জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়া শামীম দেশে আসবে ঠিকই তবে কফিনে।

দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক মালয়েশিয়ায় মৃত্যু বরণ করলে এবং তা হাই কমিশনের নজরে আসার সাথে সাথেই হাই কমিশন সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সাথে কাজ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে হাইকমিশনের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের আত্মীয়-স্বজন হারালে যে ব্যথা অনুভূত হওয়ার কথা সেই সমব্যথায় ব্যথিত হয়ে লাশ প্রেরণের কাজটি করে থাকেন।

তিনি বলেন, ডকুমেন্টেড অথবা আনডকুমেন্টেড যেকোনো কর্মীর মৃত্যু হলে লাশ দেশে প্রেরণের জন্য ডেথ সার্টিফিকেট, মেডিক্যাল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও কাসকেট কোম্পানি নিয়োগের প্রয়োজন হয়। ডকুমেন্টেড কর্মীর দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হলে ইন্সুরেন্স বাবদ ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি সময় সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু হাই কমিশন যেকোনো মৃত্যুর ক্ষেত্রে কোম্পানির নিকট থেকে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, কোনো কোম্পানিই স্বাভাবিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না বা দিতে চাইলেও সেক্ষেত্রে গড়িমসি করে। যেকোনো পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আদায়ে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। লাশ প্রেরণে এদেশে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টার কারণে কোনো কোনো লাশ প্রেরণে কিছু সময় বেশি লাগে। এ ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা অধৈর্য হয়ে পড়েন এবং কখনও কখনও আমাদের ভুল বোঝেন।

সুমন চন্দ্র দাশ আরও বলেন, স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে হাইকমিশন আবেদন প্রাপ্তির যথাযথতা সাপেক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় চিঠি ইস্যু করা হয়। প্রবাসীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিতে হাইকমিশন সামর্থ্য অনুযায়ী বদ্ধপরিকর।

শেয়ারনিউজ, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে