ঢাকা, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ভাড়া কেন বেশি

২০২৩ নভেম্বর ২৪ ০৮:০৪:৪৯
কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ভাড়া কেন বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনে শোভন চেয়ারে ভাড়া ৩৪৫ টাকা। বিরতিহীন সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে এই শ্রেণিতে ভাড়া ৪০৫ টাকা।

কিন্তু আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাওয়া কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে শোভন চেয়ারে ভাড়া লাগবে ৪৫০ টাকা। এই ট্রেনে ভ্যাটসহ স্নিগ্ধায় (এসি) ভাড়া ৮৫৫ টাকা।

অথচ অন্যান্য ট্রেনে এই শ্রেণিতে ভাড়া ৬৫৬ টাকা। বিরতিহীন ট্রেন স্নিগ্ধায় ভাড়া ৮০৫ টাকা।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারে ভাড়া ৬৯৫ টাকা। স্নিগ্ধায় ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা।

রেলওয়ের পদ্ধতি অনুযায়ী ঢাকা-কক্সবাজার রুটে শোভন চেয়ারে ৫০০ এবং স্নিগ্ধায় ৯৬১ টাকা ভাড়া হওয়ার কথা।

যাত্রীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ভাড়া কেন অন্য ট্রেনের তুলনায় বেশি।

এই বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ভাড়ায় ননস্টপ চার্জ যোগ হয়েছে। ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী দূরত্বে যে রেয়াত (ছাড়) দেওয়া হয়, তা নেই। এই কারণেই ভাড়া বেশি।

কক্সবাজার এক্সপ্রেস শুধু ঢাকার বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। আর কোথাও থামবে না। এ কারণে ১০ শতাংশ ননস্টপ চার্জ যোগ করা হয়েছে ভাড়ার সঙ্গে।

জানা গেছে, ট্রেনের ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী ১৫০ কিলোমিটারে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। পরের ১৫০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ এবং পরবর্তী দূরত্বের জন্য ছাড় হয় ৩০ শতাংশ।

ঢাকা-কক্সবাজারের বাণিজ্যিক দূরত্ব ৫৩৫ কিলোমিটার। কিন্তু কক্সবাজার এক্সপ্রেসকে পর্যটন ট্রেন বিবেচনা করে ভাড়ায় ছাড় দেয়নি রেলওয়ে।

রেলওয়ের ভাষ্য, ট্রেনের ভাড়া বাসের তুলনায় কম। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বিনিয়োগ তুলে আনা এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়নি।

শেয়ারনিউজ, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে