ঢাকা, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

ব্রোকারেজ হাউজের পরিচালক হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

২০২৩ নভেম্বর ০৬ ১৬:৪৩:২১
ব্রোকারেজ হাউজের পরিচালক হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে ব্রোকারেজ হাউজের গ্রাহকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্টক ব্রোকার ও ডিলারদের জন্য খসড়া প্রবিধান তৈরি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

প্রবিধান অনুযায়ি, প্রতিটি ব্রোকারেজ হাউজকে ক্লায়েন্টদের মধ্য থেকে একজন প্রতিনিধিকে হাউজটির বোর্ডে পরিচালক হিসাবে নিয়োগ করতে হবে।

এছাড়া, প্রবিধান অনুযায়ি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) নিয়োগ বা অবসান করতে ব্রোকারেজ হাউজগুলিকে অবশ্যই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন নিতে হবে।

‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার এবং অনুমোদিত প্রতিনিধি) রেগুলেশনস, ২০২৩’ শিরোনামের খসড়া প্রবিধানটি বিএসইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের খসড়া বিধিমালার বিষয়ে তাদের মতামত জানাতে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

এই প্রবিধানে বিএসইসি ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের প্রয়োজনীয়তা, বিনিয়োগ, ক্লায়েন্ট অ্যাকাউন্ট পরিচালনা এবং স্টক ব্রোকার ও ডিলারদের জন্য কর্মকর্তা এবং অনুমোদিত প্রতিনিধিদের নিয়োগ ও সমাপ্তি সম্পর্কিত নির্দেশিকা তৈরি করেছে।

প্রবিধানে বলা হয়েছে, স্টক ব্রোকাররা তারা যারা অন্যের অ্যাকাউন্টের জন্য সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় করে, যেখানে ডিলাররা তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টের জন্য সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় করে।

গত কয়েক বছরে বিএসইসির তদন্তে ব্রোকারেজ হাউজগুলির একটি বড় অংশের বিরুদ্ধে ক্লায়েন্টের অর্থ অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আবার, অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিয়েছে।

প্রবিধানে বলা হয়েছে, প্রতিটি স্টক ব্রোকারকে যেকোনো নির্ধারিত ব্যাঙ্কের সাথে একটি সমন্বিত গ্রাহক অ্যাকাউন্ট (সিসিএ) বজায় রাখতে হবে, যেখানে ক্লায়েন্টরা শেয়ার কেনা এবং বিক্রি করার উদ্দেশ্যে অর্থ জমা করে। অ্যাকাউন্টে তহবিল গ্রাহকদের জমা করা অর্থের চেয়ে কম হলে, এটি অব্যবস্থাপনা বা অপব্যবহার বা ক্যাশ আত্মসাৎ নির্দেশ করে।

তাই বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে বিএসইসি নতুন প্রবিধান জারির উদ্যোগ নিয়েছে। জনমত যাচাইয়ের পর প্রবিধানটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।

পরিশোধিত মূলধন প্রয়োজন

খসড়া বিধিমালা অনুযায়ী, স্টক ব্রোকার লাইসেন্স পেতে আবেদনকারীদের পরিশোধিত মূলধন হিসেবে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা, বিদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ কমপক্ষে ৮ কোটি টাকা এবং সম্পূর্ণ বিদেশি মালিকানা ১০ কোটি টাকা রাখতে হবে।

স্টক ডিলার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা। একটি স্টক ব্রোকার এবং স্টক ডিলার লাইসেন্স পেতে, ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন প্রয়োজন ১৫ কোটি টাকা এবং যৌথ উদ্যোগ বা সম্পূর্ণ বিদেশী মালিকানার জন্য এটি হতে হবে ২০ কোটি টাকা।

যারা মার্জিন লোন অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে চান তাদের ঝুঁকি-ভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততা নিয়ম মেনে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন বজায় রাখতে হবে।

প্রতিটি স্টক ডিলার বা ব্রোকারকে পরিশোধিত মূলধনের নেট মূল্য হিসাবে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ বজায় রাখতে হবে। স্টক ডিলারদের উচিত তার পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ সরকারী সিকিউরিটিজ সহ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা।

খসড়া প্রবিধান গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ার পরে বিদ্যমান ডিলার এবং মধ্যস্থতাকারীদের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।

এদিকে, একটি ব্রোকারেজ হাউজ ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন মেনে সর্বোচ্চ ১৫টি শাখা খুলতে পারে। তবে তারা আরও শাখা খুলতে চাইলে তাদের প্রত্যেকের অতিরিক্ত পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে ২ কোটি টাকা। শাখা বা বুথের এক্সটেনশন অফিস খোলা যাবে না।

এছাড়া, স্টক ব্রোকাররা কোনো সাবসিডিয়ারি বা অ্যাসোসিয়েট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারে না।

শেয়ারনিউজ, ০৬ নভেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে