ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেনের মাস সেপ্টেম্বর

২০২৩ সেপ্টেম্বর ১০ ১২:০৮:২৪
শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেনের মাস সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে সবচেয়ে ভালো লেনদেন হয় সেপ্টেম্বর মাসে। সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিদিনের গড় লেনদেন সারা বছরের দৈনিক গড় লেনদেনের চেয়ে অনেক বেশি। গত ৫ বছরের মধ্যে ৪ বছরই এমনটাই দেখা গেছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটালের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ফলে শেয়ারবাজারে সবচেয়ে ‘ভালো মাস’ হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে সেপ্টেম্বর।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি ভালো না খারাপ, তা নিরূপণের অন্যতম নির্দেশক হলো শেয়ারের লেনদেন। শেয়ার লেনদেন ভালো হলে শেয়ারবাজারের অন্যান্য সূচকও বেশিরভাগ সময় ইতিবাচক থাকে।

ব্যাংক বহির্ভূত শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিভিডেন্ড ঘোষণার মৌসুম বিবেচনায় সেপ্টেম্বর মাসে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশি থাকে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে চার বছরের গড় লেনদেন ওই সব বছরের সেপ্টেম্বর মাসের গড় লেনদেনের চেয়ে বেশি ছিল। কেবল ২০১৯ সালের এর ব্যত্যয় হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮ সালে পুরো বছরের দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৫.৫১ বিলিয়ন টাকা। ওই বছরের সেপ্টেম্বরের গড় লেনদেন ছিল ৭.৪০ বিলিয়ন টাকা। তবে ২০১৯ সালের গড় লেনদেন ৪.৮০ বিলিয়নের বিপরীতে সেপ্টেম্বরে হয় ৪.০৪ বিলিয়ন টাকা।

পরবর্তী তিন বছরেই সেপ্টেম্বর মাসের গড় লেনদেন অনেক বেশি ছিল। ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের দৈনিক গড় লেনদেন যথাক্রমে ৬.৪৮, ১৪.৭ ও ৯.৬ বিলিয়ন টাকা। এর বিপরীতে বছরগুলোর সেপ্টেম্বর মাসের দৈনিক গড় লেনদেন ছিল যথাক্রমে ১০.১১, ২৩.০৪ ও ১৬.৯০ বিলিয়ন টাকা।

সাধারণত, জুনে অর্থবছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলো সেপ্টেম্বর মাসে ডিভিডেন্ড বা ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়। এতে ভালো ডিভিডেন্ডের প্রত্যাশায় পূর্বানুমানের ভিত্তিতে মাসটিতে শেয়ার কেনাবেচায় বাড়তি আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। যার প্রভাব পড়ে সামগ্রিকভাবে লেনদেনে।

তবে সেপ্টেম্বর মাসেই সবসময় বেশি লেনদেন হবে তার স্থায়ী কোনো ভিত্তি নেই বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের ডিভিডেন্ড ঘোষণাকে কেন্দ্র করে লেনদেন বাড়তে পারে সেপ্টেম্বরে। তবে সবসময়ই যে লেনদেন বেশি হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায় না, কমতেও পারে। এগুলো অর্থনীতি, শেয়ারবাজারের সেন্টিমেন্টসহ আরও অনেক কিছুর সঙ্গে সম্পর্কিত।

এই শেয়ারবাজার বিশ্লেষকের মতকে সমর্থন করেছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সুমিত পোদ্দার। তিনি বলেন, কোনো কোম্পানির প্রফিটিবিলিটি প্রথম নয় মাস ভালো থাকতে পারে। এরপর টার্নব্যাক হতে পারে। মূল্য সংবেদনশীল যেসব তথ্য প্রকাশ করা হয়, সেভাবেই যে কোম্পানির সবকিছু হবে তা বলা মুশকিল।

গবেষণা তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে ৩.৯৭ শতাংশ রিটার্নসহ সর্বোচ্চ তারল্য ছিল সেবা ও রিয়েল এস্টেট খাতে। এরপরে সিরামিক খাতে ৩.২৭ শতাংশ। আর তৃতীয় স্থানে থাকা কাগজ এবং মুদ্রণ খাতে ৩.০৫ শতাংশ।

শেয়ারনিউজ, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে