ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর মানিলন্ডারিং অভিযোগ!

২০২৫ নভেম্বর ২৮ ১৪:০৪:১৬
পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর মানিলন্ডারিং অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিস সরাফাতসহ চারজনের বিরুদ্ধে ১,৬১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার মানিলন্ডারিং মামলাটি দায়ের করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলা করা হয়েছে গুলশান থানায়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায়।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রেইস ম্যানেজমেন্ট পিএসিএল নামে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ফান্ডের অর্থ ব্যক্তিগত ও অবৈধ স্বার্থে ব্যবহার করেছেন নাফিস সরাফাত ও তার সহযোগীরা। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৩ সালের মধ্যেই ১০টি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা শুরু করে; বর্তমানে ১৩টি ফান্ড পরিচালিত হচ্ছে।

নাফিস সরাফাত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহীদ এবং সহযোগী ড. হাসান তাহের ইমাম মিলে ফান্ডের অর্থ দিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) শেয়ার ক্রয় ও পরিচালনা পর্ষদে জায়গা করে নেন। একইভাবে আঞ্জুমান আরা শহীদকে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক পদেও বসানো হয়।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ ব্যবহার করে মাল্টি সিকিউরিটিজ নামের ব্রোকারেজ হাউজ অধিগ্রহণ এবং তা ব্যবহার করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ। পদ্মা ব্যাংকের অর্থও পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ ও স্ট্র্যাটেজিক ইকুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সিআইডি অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নাফিস সরাফাত, তার স্ত্রী ও ছেলে রাহীব সাফওয়ান সারাফাত চৌধুরীর নামে ৭৮টি ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হয়। এসব হিসাবের মোট জমা প্রায় ১,৮০৯ কোটি টাকা এবং উত্তোলন ১,৮০৫ কোটি টাকা; বর্তমানে হিসাবগুলিতে মাত্র ২৯ লাখ ২১ হাজার টাকা অবশিষ্ট আছে।

তাদের বিরুদ্ধে কানাডা, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তথ্যও পাওয়া গেছে। রাহীব সাফওয়ান সারাফাতের নামে বিদেশি ব্যাংকে ৭৬টি হিসাব রয়েছে।

নাফিস সরাফাত ও সহযোগীদের নামে দুবাইতে ফ্ল্যাট-ভিলা, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে নিবন্ধিত কোম্পানি ও সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ফান্ড পরিচালনার প্রমাণও পাওয়া গেছে।

সিআইডি জানাচ্ছে, প্রতারণা, জালিয়াতি ও দেশি-বিদেশি মুদ্রা পাচারের মাধ্যমে মোট ১,৬১৩ কোটি টাকার বেশি অর্থ অবৈধভাবে অর্জিত হয়েছে। বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানিয়েছেন, রাষ্ট্রের আর্থিক স্বার্থ রক্ষায় মানিলন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে