ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

নির্বাচন, বিচার ও দেশে ফেরা নিয়ে রয়টার্সকে যা বললেন শেখ হাসিনা

২০২৫ অক্টোবর ৩০ ০৯:০৯:১১
নির্বাচন, বিচার ও দেশে ফেরা নিয়ে রয়টার্সকে যা বললেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এবং দেশ ছেড়ে পালানোর পর, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে একটি আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, বুধবার, রয়টার্সে প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেছেন, যার মধ্যে তার এবং তার পরিবারের আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা এবং তার দেশে ফেরার শর্ত অন্যতম।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্তব্য

সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি বা তার পরিবারের কেউই আর ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নাও থাকতে পারেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ যে ভবিষ্যৎ চায়, তা অর্জন করতে হলে সাংবিধানিক শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কোনো একক ব্যক্তি বা পরিবার দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না।

দেশে ফেরা নিয়ে শর্ত ও বর্তমান অবস্থান

আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম দেশে নিষিদ্ধ হওয়ায় শেখ হাসিনা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত কোনো সরকারের অধীনে তিনি দেশে ফিরবেন না। তিনি বর্তমানে ভারতেই অবস্থান করছেন এবং আপাতত সেখানেই থাকার পরিকল্পনা নিয়েছেন। দেশে ফেরার বিষয়ে তার প্রধান শর্ত হলো, সেখানে একটি বৈধ সরকার থাকতে হবে, সংবিধান অটুট থাকতে হবে এবং প্রকৃত আইনশৃঙ্খলতা বজায় রাখতে হবে। শেখ হাসিনা তার দলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে "অন্যায়ই নয়, আত্মঘাতীও" বটে বলে মন্তব্য করেছেন।

ছেলের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নতা

তবে শেখ হাসিনার এই নতুন অবস্থান তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগের মন্তব্যের সঙ্গে কিছুটা ভিন্নতা দেখাচ্ছে। গত বছর (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪), ওয়াশিংটনে বসবাসকারী জয় রয়টার্সকে বলেছিলেন যে, যদি অনুরোধ আসে, তবে তিনি আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন। এই বিষয়টি পরিবারিক অবস্থানের মধ্যে একটি পার্থক্য নির্দেশ করে।

দেশে ফেরা অনিশ্চিত: আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা ও গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা

শেখ হাসিনার দেশে ফেরা এখনো অনিশ্চিত। কারণ, গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর সহিংস দমন-পীড়ন, গুম এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে। এছাড়াও, ট্রাইব্যুনাল গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার যেকোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে