ঢাকা, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

দুবাই-লন্ডনে সাবেক আওয়ামী লীগ মন্ত্রীর ৫৯৭ বাড়ি 

২০২৫ অক্টোবর ২৯ ১০:৩২:১৩
দুবাই-লন্ডনে সাবেক আওয়ামী লীগ মন্ত্রীর ৫৯৭ বাড়ি 

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল ঋণ নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই অর্থ দিয়ে তিনি দুবাই, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯৭টি বাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএফআইইউ’র অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে একাধিক ভুয়া ও অস্থিত প্রতিষ্ঠান গঠন করে ঋণ নেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এসব ঋণের একটি অংশ তার মূল প্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপ–এর হিসাবে জমা হয় এবং অন্য অংশ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে উত্তোলন করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কিছু অর্থ সরাসরি হুন্ডির মাধ্যমে দুবাইয়ের জেবা ট্রেডিং কোম্পানির নামে পাঠানো হয়, যা পরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোতে স্থানান্তর করা হয়।

বিএফআইইউ এবং সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা গেছে—

দুবাইয়ে: ২২৬টি ফ্ল্যাট ও বাড়ি (মূল্য প্রায় ১,১১৫ কোটি টাকা)

যুক্তরাজ্যে: ৩৬০টি বাড়ি (মূল্য প্রায় ৩,৮৪০ কোটি টাকা)

যুক্তরাষ্ট্রে: ফ্লোরিডা ও নিউইয়র্কে ৯টি বাড়ি

স্ত্রী রুকমিলা জামানের নামে দুবাইয়ে আরও ২টি বাড়ি (মূল্য প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা)

সিআইডির তথ্যমতে, শুধুমাত্র দুবাইয়েই প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছে সংস্থাটি।

বিএফআইইউ’র প্রতিবেদন অনুসারে, অর্থ পাচার ও ঋণ জালিয়াতি ঢাকতে জাবেদ ‘লেয়ারিং’ কৌশল ব্যবহার করেন।

একাধিক ব্যাংক থেকে একই দিনে অনুমোদনহীন অর্থ ছাড়,কর্মচারীর মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ১২টি কোম্পানির ব্যাংক হিসাব খোলা,এক ব্যাংকের ঋণ অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ— এসব অনিয়মের দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া আরামিট গ্রুপ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ও ইউসিবি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরের প্রমাণ পেয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে