ঢাকা, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

ঢাকার আবাসিক এলাকায় বিষধর সাপের দাপট

২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৭:০০:১৮
ঢাকার আবাসিক এলাকায় বিষধর সাপের দাপট

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে ইটের ও পাথরের নাগরিক বিস্তার প্রাণ-প্রকৃতির আশ্রয়কে বিলীন করেছে, ফলে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বিষধর সাপ হানা দিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ এনিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে যে, গত সাড়ে তিন মাসে অন্তত ৩২১টি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে ঢাকা থেকে। এই হিসেবে, প্রতিদিন গড়ে তিনটি সাপ উদ্ধার করেছে সংস্থাটি।নতুন গড়ে ওঠা আবাসন প্রকল্পগুলোতে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে, যার মধ্যে রাজধানীর উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরও রয়েছে। বাসিন্দারা আকস্মিকভাবে সাপ দেখে আতঙ্কিত হচ্ছেন। উদ্ধার হওয়া সাপগুলোর বেশিরভাগই বিষধর, যার মধ্যে ভয়ঙ্কর বিষধর খৈয়া গোখরা (ইন্ডিয়ান কোবরা), পদ্ম গোখরা বা মনোকোল্ড কোবরা, ওয়ানস ক্রেট ও রাসেল ভাইপার উল্লেখযোগ্য।

রেসকিউয়ার আদনান আজাদ জানান যে, ৩২১টি সাপের মধ্যে ৩১৯টিই বিষধর ছিল, এবং মাত্র দুটি নির্বিষ সাপ ছিল। তিনি আরও জানান যে, বিষধর সাপগুলো সাধারণত নিশাচর হয় এবং রাতের বেলায় চলাফেরা করে, তাই রেসকিউ কলগুলো বেশিরভাগ রাতে আসে। প্রায়শই রাত ২টা, ৩টা, ৪টা বা ৫টা থেকেও ফোন আসে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

খৈয়া গোখরার প্রজনন মৌসুম ছিল দুই মাস আগে, আর বর্তমানে পদ্ম গোখরার প্রজনন মৌসুম চলছে অক্টোবর মাসে। আগামী কয়েক মাস এই সাপের দেখা মিলতে পারে। রেসকিউয়াররা জানান, বৃষ্টির কারণে গর্তগুলো পানিতে ভরে গেলে শুকনো জায়গার খোঁজে সাপগুলো মানুষের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে। একবার বাড়িতে ঢুকলে, ইঁদুরের প্রাচুর্যের কারণে সাপগুলো সেখানেই বসবাস শুরু করে। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মনোকোল্ড কোবরা, এবং বর্তমানে এর প্রজননকাল চলছে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ৫-১০ দিন সময় লাগতে পারে, তখন আরও অনেক সাপের বাচ্চা উদ্ধার করতে হতে পারে।

ব্যাপক নগরায়নের ফলে জলাধার এবং বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সাপের আবাসস্থল হুমকির মুখে পড়েছে। খাদ্য ও বেঁচে থাকার প্রয়োজনে বিপন্ন সরীসৃপগুলো মানুষের বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে। তাই বর্ষা মৌসুমে সকলকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন রেসকিউয়াররা।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে